কলকাতা: শহিদ মিনার চত্বরে DA-ধর্নামঞ্চের ১০০ মিটার দূরে আজ সভায় এসেই বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন তিনি 'দো লাড্ডু' প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পকে নিশানা করলেন। বললেন কার্যত ব্যর্থতার কথা। আন্দোলনের আকার দেখিয়ে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলে, 'আজকে ট্রেলর দেখালাম, ভবিষ্যতে দিল্লির বুকে এই আন্দোলন করব।'
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ইতিমধ্যেই একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের। যার জন্য মাঝে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে রাজ্যের জেলায় জেলায় খতিয়ে দেখেন। যার পর উঠে আসে আরও একাধিক দুর্নীতির ঘটনা। এদিকে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে ঢাল করেই একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচার চালিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবং সামনে পঞ্চায়েত। এবং সবচেয়ে বড় কথা চব্বিশের লোকসভা ভোট। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতি, নাম বদলে নিজেদের প্রকল্প বলে চালিয়ে নেওয়া সহ ভুরি ভুরি অভিযোগ দেগেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তবে তা অস্বীকার করে পাল্টা নিশানা করেছে তৃণমূল। এদিন আরও একধাপ এগিয়ে পাল্টা 'সড়ক যোজনা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা কে আটকে রেখেছে ?' প্রশ্ন তোলেন এদিন অভিষেক।
শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভার বিরোধিতা করে গতকাল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন DA-আন্দোলনকারীরা (DA Agitators)।অভিষেকের সভা অন্যত্র করার নির্দেশ দিক হাইকোর্ট (Calcutta High Court), আবেদন জানিয়েছিলেন মামলাকারীর দল। তবে শেষ অবধি শহিদ মিনারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় (Rally) শর্তসাপেক্ষে ছাড়পত্র দিয়েছে আদালতের । ছাড়পত্র দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
সিসিটিভি দিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মুড়ে ফেলতে হবে, পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে, বিচারপতি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, 'আদালত প্রত্যাশা করে তৃণমূল ছাত্র-যুবর তরফ থেকে অশান্তির কোনও উস্কানি দেওয়া হবে না। যদি এরকম হয় তার ফল ভাল হবে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিছু হলে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তখন বিচারপতি মন্তব্য করেন, সিপিকে মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতে যেন একই জায়গায় দু'টি কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, 'BJP-র মতো সরকারের টাকা মিসইউজ করি না', বিস্ফোরক মমতা
অপরদিকে, ধর্না শুরুর আগের দিন সিঙ্গুর থেকে একাধিক ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। গ্যাসের দামবৃদ্ধি থেকে একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা, এমনকি সিবিআই-ইডির অতি সক্রিয়তা নিয়েও এদিন নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা সুর চড়ায় বিজেপিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ' কিছু বললেই ইডি-সিবিআইকে পাঠিয়ে দাও। মহিলাদের পর্যন্ত টেনে টেনে নিয়ে যাও। সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞতা জানায় যে বলেছে বাড়ির মহিলাদের এখানে ওখানে ডাকা যাবে না। '