কলকাতা: রেডরোডের ধর্নামঞে এদিন পৌঁছে গিয়ে গেরুয়াশিবিরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মমতা। তিনি এদিন স্পষ্ট বললেন, এটা রাজ্য সরকারের তরফে নয়, সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই ধর্নামঞ্চ। 


তিনি বলেন, 'কিন্তু আমি সরকারের পক্ষ থেকে আছি, আমাদের সব মন্ত্রীরাও আছেন।' কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, 'আমি ডবল ডিউটি পালন করছি, বিজেপির মতো সরকারের টাকা মিসইউজ করি না।' বুধবার কলকাতার প্রাণকেন্দ্রজুড়ে একের পর এক হাইভোল্টেজ কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় রয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। এদিকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন পা দেবে ৬২ দিনে। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশ। যেখানে প্রধান বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখন থেকেই ফুটছে বঙ্গ রাজনীতি।


প্রসঙ্গত, ধর্না শুরুর আগের দিন  সিঙ্গুর থেকে একাধিক ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। গ্যাসের দামবৃদ্ধি থেকে একাধিক প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা, এমনকি সিবিআই-ইডির অতি সক্রিয়তা নিয়েও এদিন নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। পাল্টা সুর চড়ায় বিজেপিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ' কিছু বললেই ইডি-সিবিআইকে পাঠিয়ে দাও। মহিলাদের পর্যন্ত টেনে টেনে নিয়ে যাও। সুপ্রিম কোর্টের কাছে কৃতজ্ঞতা জানায় যে বলেছে বাড়ির মহিলাদের এখানে ওখানে ডাকা যাবে না। '       


 অপরদিকে, একইদিনে মমতার পাল্টা সভা বিরোধীদেরও। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে রেড রোডে মমতার ধর্নায় দিনই রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে অবস্থানে বসছে বঙ্গ বিজেপি। ৪০ ফুটের মঞ্চ। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের গেটে ধর্নায় বসছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ। আর এদিন মমতা ও অভিষেকের কর্মসূচি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,' উনি একজায়গায় ধর্না দিচ্ছেন, ভাইপো আরেক একজায়গায় ! আপনাকে ধর্না দিতে হবে ওখানেই, যেখানে অনশন চলছে', বলে বিস্ময়প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা।


আরও পড়ুন, 'কেন আর জায়গা নেই কলকাতায় ?' মমতা-অভিষেকের সভা ঘিরে বিস্ফোরক দিলীপ


তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ' কেন আর জায়গা নেই কলকাতায় ? উল্লেখ্য, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টে এসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, আগেও মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার হুমকি এসেছে তাদের কাছে। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও এসেছিল। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির সংযোজন , 'ডিএ- নিয়ে যারা ধর্না দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে অ্যারেস্ট করবেন, তুলে দেবেন, কিন্তু পারেননি। কোর্ট তাঁদেরকে নির্দেশিকা দিয়েছে।'