কলকাতা : বুধবার কলকাতার প্রাণকেন্দ্রজুড়ে একের পর এক হাইভোল্টেজ কর্মসূচি! কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রেড রোডে আম্বেদকর মূর্তির সামনে ধর্নায় বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjee ) । বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনার চত্বরে সরকারি কর্মীদের আন্দোলন পা দিল ৬২ দিনে। আর সেখান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে তৃণমূলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে গলা চড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) । 


মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ছাড়পত্র দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশে বলা হয়, CCTV ক্যামেরা দিয়ে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা মুড়ে ফেলতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা। সভা থেকে কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। তাই অভিষেক এদিন সভার শুরুতেই বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশিকা মেনে সভা করতে হচ্ছে'। লোকারণ্য দেখে তিনি বলেন, 'যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে বলে ভাবছিল, এই সভা তাঁদের জবাব। আগামীদিনে দিল্লির বুকেও হবে এমন আন্দোলন' । 

আরও পড়ুন :


'ওজন কমেছে', ডার্ক চকোলেট, ফলের রস খেয়ে 'বিচিত্র গণ অনশন' DA আন্দোলনকারীদের


শহিদ মিনারের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঙ্কার দেন 'দিল্লি থেকে আমরা সব দাবি ছিনিয়ে আনব। কেউ শেষ কথা বলে না, বলেন গণদেবতা।' ফের একবার সভা মঞ্চ থেকে তুললেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ। এর আগেও বহুবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে শোনা গেন তারই অনুরণন। তিনি বললেন, 'বিজেপি সরকার ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে'। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর কথামতো কেন্দ্রের সরকার জোড়া লাড্ডু বাংলার হাতে তুলে দিয়েছে'। 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন নিয়ে বিজেপি নেতাদের অভিযোগের জবাব এই মঞ্চ থেকেই দেন অভিষেক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'বাংলায় বাড়ি হলে কার নামে হওয়া উচিত? মোদির নামে, না বাংলার নামে? বাংলার যোজনা, বাংলার নামেই হওয়া উচিত... দিল্লি থেকে আমরা সব দাবি ছিনিয়ে আনব'। অভিষেক আরও বলেন, 'গত দু'বছরে ১০৬টি প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। গা-জোয়ারি করে বাংলার টাকা আটকে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ওদের ১৮ জন সাংসদ রাজ্যবাসীরা দিয়েছেন, ওরা রাজ্যের পাওনা আটকে দিয়েছে'। 

এছাড়াও অভিষেকের বক্তব্যে ফের একবার উঠে এল রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গ। তিনি বললেন, রাহুলের মন্তব্যে মোদি-ভাবাবেগ আহত হলে, প্রধানমন্ত্রীর দিদি-মন্তব্যে অপমানিত মহিলারা' ! এভাবে আগাগোড়া অভিষেক বিঁধলেন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে।