হুগলি: এদিনই সকালে রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে বিদেশ যাওয়ার সময় রোখা হয়েছে। বিমানবন্দরেই তাঁর হাতে নোটিশ দিয়েছে ইডি। পরে বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে একাধিক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাতে নবজোয়ার যাত্রার মাঝে সাংবাদিক বৈঠক করে কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেই মামলার তদন্ত করছে। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ আরও একাধিক তৃণমূল বিধায়ক, এসএসসি কমিটির লোকজন। এদিন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় অভিযোগ করেন, 'এসএসসি (SSC Scam) দুর্নীতির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি।' তিনি আরও বলেন, এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যে কজনের নাম জিজ্ঞেস করেছে। তাতে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই পূর্ব মেদিনীপুরের। আর বেশ কয়েকজন ছিল মুর্শিদাবাদের। তৃণমূলে থাকার সময় শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদ জেলার দায়িত্বে ছিলেন। আর পূর্ব মেদিনীপুর অধিকারী পরিবারের গড় বলেই পরিচিত।
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করার ঘটনা নিয়েও তোপ দাগেন তিনি। অভিষেক বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এরা মানে না। আমি যে কেস করেছিলাম। তাতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল একটি নোটিশ পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে। জানি না সেটা পাঠিয়েছে কিনা। কোর্টে জানানো হয়েছিল, যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুয়ায়ী আমার জানানোর কথা নয়। আমার ইনটেনশন খারাপ থাকলে আমি জানাতাম না। আমার স্ত্রীর মেল অ্যাকাউন্ট থেকে মেল করা হয়েছিল। সেখানে বলা ছিল কোন দিন থেকে কোন দিন থাকব না। এক বছর আগে ডেকেছিল। তার পর তো আর ডাকেনি।' তাঁর আরও দাবি, নবজোয়ার যাত্রাকে বিঘ্নিত করতে এরকম করেছে।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন সোনা পাচারের অভিযোগও তুলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, 'সর্বত্র মিথ্যা কথা বলে। যেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে তখনই ফিরিয়ে আসে। বলছে সোনা ধরা পড়েছে। বিমানবন্দরে ৫০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। একটা ফুটেজ দিক। ২ গ্রাম সোনা ছিল কিনা দেখান। আমার সঙ্গে লড়াই করে পারছেন না। আমার স্ত্রীকে টানছেন, সন্তানদের টানছেন।
চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীকেও:
এদিন অভিষেক বলেন, 'আপনার বয়স ৭২, আমার বয়স ৩৬। আপনার চেয়ারকে সম্মান জানিয়ে বলছি। আপনি পারলে আমায় অ্যারেস্ট করুন।' ইডি-সিবিআইকে লাগিয়ে তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
তাঁর হুঁশিয়ারি, 'আগামী দিন যদি এরা ক্ষমতায় আসে আপনার ভবিষ্যত গঙ্গায় বিসর্জন করতে হবে। যাদের ভোটে জিতেছে তাদের টাকা বন্ধ করেছে। যখন যা ইচ্ছে তাই করেছে। এই দেশে গণতন্ত্র চলছে? মানুষকে অনুরোধ করব আপনারা ভেবে দেখুন যাদের ভোট দিয়েছেন তাদের দেখেছেন?'
আরও পড়ুন: গরম পড়লেই ভরসা আখের রসে? কতটা কাজে লাগে? আদৌও উপকার রয়েছে?