কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, কলকাতা : ফের অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও মানিক ভট্টাচার্যের পাশে থাকার বার্তা দিল তৃণমূল। এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ারই বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টে, বিজেপিকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। পাল্টা, জবাব দিয়েছে বিজেপিও।


পৃথক ফল-তরজা-


একই যাত্রায় পৃথক ফল কেন ? কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও, অনুব্রত মণ্ডল এবং মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৃণমূল কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বার বার এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

ED-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার, ৬ দিনের মাথায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। গ্রেফতারির ৫২ দিনের মাথায় যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তলকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দল। গ্রেফতারির ৪ দিন পর, তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ঘোষণা করে তৃণমূল।


কিন্তু, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়ে, ২৩২ দিন ধরে কখনও কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে, কখনও জেলবন্দি রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, ১৭১ ধরে জেলবন্দি রয়েছেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। কিন্তু, তাঁদের বিরুদ্ধে দলীয়স্তরে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


এই অবস্থায়, যখন এ-নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এনিয়ে নিজেদের অবস্থান কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, "অমিত শাহের বিরুদ্ধেও তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ওরা আগে বিশ্বজিৎ কুণ্ডুকে সরাক। শুভেন্দু নিজেই বলেছেন, নারদে প্রমাণিত। এদের সরাতে পেরেছেন ? আমরা একমাত্র দল যারা ব্যবস্থা নেয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব ছিলেন। কার পদ বড় ছিল ? পার্থ না অনুব্রত ? অপেক্ষা করুন আপনারা। ডাকলেই সাসপেন্ড নাকি। আমাকে চারবার ডেকেছে ইডি, তাহলে আমাকে সাসপেন্ড করে দিক। রাহুল গান্ধীকে ডেকেছে, তাহলে দল তাঁকে সাসপেন্ড করে দিক। ইডি-সিবিআই মানে ভগবান নয়, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাকে তুলবে, তার মানে দল থেকে সরাতে হবে এমন কোনও মানে নেই।"

এনিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, তৃণমূল তাদের সরিয়েছে, যাদের কাজ নিয়ে ওদের মনে প্রশ্ন ছিল।

অনুব্রত মণ্ডলকে কখনও বীর...তো কখনও বাঘ বলে সম্বোধন করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এনিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের পরও, তৃণমূলের অবস্থান যে বিশেষ বদলায়নি, তা এদিন ফের একবার স্পষ্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়


আরও পড়ুন ; 'ডিজে চালিয়ে রামকে স্মরণ করার এ কোন প্রথা !', অভিষেকের পাল্টা পুলিশমন্ত্রীর পদত্য়াগ দাবি শুভেন্দুর