কলকাতা : লোকসভা ( Loksabha Poll ) ভোট সামনেই । কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছে সবদলই। ২৪ এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে স্ট্র্যাটেজিও ঠিক করে ফেলছে দলগুলি। তার আগে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমার পক্ষে ফের সওয়াল করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) ।
বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেকের মন্তব্য, 'রাজনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটা ঊর্ধ্বসীমা থাকা দরকার। প্রবীণদের প্রত্যেক দলে প্রয়োজন, তাদের অভিজ্ঞতা, মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা সর্বত্র প্রয়োজন। তবে আমি মনে করি প্রোডাক্টিভিটি কিছু কমে। ... সব ক্ষেত্রেই ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত।' বললেন অভিষেক।
'প্রবীণ'-'নবীন' দ্বৈরথের ইঙ্গিত
সম্প্রতি তৃণমূলের একাধিক নেতার মন্তব্য়ে উঠে এসেছে 'প্রবীণ'-'নবীন' দ্বৈরথের ইঙ্গিত। সম্প্রতি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বক্তব্য়ে বারবার উঠে আসে পুরনোদের কথা! এমনকী বছরখানেক আগে, তৃণমূলে ভোটে দাঁড়ানোর বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল, সৌগত রায়ের নাম করে, তা-ও সরাসরি উড়িয়ে দেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
তবে সম্প্রতি সৌগত রায়ের একটি মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বাগযুদ্ধ বাঁধে। 'তৃণমূলে কে কী হবে, সেটা মমতা ব্য়ানার্জিই ঠিক করেন। দরখাস্ত, আবেদন করে পদ পাওয়া যায়, এমনটা নয়।' নবীন-প্রবীণ দ্বৈরথের মধ্য়ই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেন সৌগত রায়। পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বলেন, ' সিনিয়ররা ভেবে দেখুন। সবসময় MP, MLA, মন্ত্রী হতে হবে, সেটা কোথা থেকে আসছে? '
'আমি শুধু বেঙ্গলের জন্য় নয়, সবার জন্য় বলছি'
এবার সেই বিতর্কেই নবীন-প্রবীন-বয়সসীমা ইত্যাদি নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অভিষেক। এর আগেও একটি সাক্ষাৎকারে খোদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, 'আমি মনে করি অনেক কিছু হওয়া উচিত। সময়সীমা থাকা উচিত রাজনীতির ক্ষেত্রে। ৬৫ বছর হোক, ৬০ বছর হোক, ৭০ বছর হোক। এর ওপর রাজনীতি করা উচিত নয়, আমি মনে করি। লোকে রিটায়ার করে ৬০ বছরে, আপনি যদি গভর্নমেন্ট সার্ভিসে থাকে, কিংবা প্রাইভেট সেক্টরে থাকে, আপনি ৬০ বছর অবধি কাজ করবেন। আমি শুধু বেঙ্গলের জন্য় নয়, সবার জন্য় বলছি।'
আরও পড়ুন- তিন রাজ্যে বিজেপির হ্যাটট্রিক, বাংলাতেও ঝড় তুলবে গেরুয়া শিবির?