পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : পাঁচিল নিয়ে বিবাদ। আর যা গড়াল খুনোখুনিতে ! বাঁকুড়ার (Bankura Crime News) নতুনচটি এলাকায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড। জায়গা ঘিরে বিবাদ থেকে প্রতিবেশীদের ওপর রড-লাঠি ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হল যুবক। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও জীবনযুদ্ধে শেষমেশ হারল মানলেন এলাকার 'মাস্টারমশাই'। মৃত্যু হয়েছে প্রৌঢ়ের ছেলেরও। আর হাসপাতালে জীবন-মৃত্যু লড়াই চালাচ্ছেন স্ত্রী। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই বাড়ির মধ্যে একটি পাঁচিল ওঠানো ঘিরে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। জমির-দখল নিয়ে যে বিবাদ মারাত্মক আকারও নিয়েছে আগে। কিন্তু তা যে এমন মর্মান্তিক মোড় নেবে, তা ভাবতেও পারেননি এলাকার বাসিন্দারা। এভাবে 'খুন'-এর পর ফেরার অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস। জানা যাচ্ছে, রবিবার রাতে ঘটে ঘটনাটি।


বিবাদ চলার মাঝেই প্রতিবেশী লাঠি-রড-ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দত্ত পরিবারের লোকজনের ওপর। প্রবল মারধরের পরে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় পরিবারের তিনজনকেই। সোমবার সকালে হাসপাতালে মারা যান মথুরা মোহন দত্ত (৬৫) ও তাঁর ছেলে শ্রীধর দত্ত (২৬)। বছর পাঁচেক আগে অবসর নেওয়া মৃত মথুর মোহন দত্ত এলাকায় মাস্টারমশাই বলেই পরিচিত। তাঁর ছেলে কাজ করতেন রাষ্ট্রায়াত্ত্ব বিমা কোম্পানিতে।


হাসপাতালে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা তাঁর স্ত্রীর সুস্থতা আশা করার পাশাপাশি অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন নতুনচটি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। গত সন্ধেয় প্রথম প্রবল কথা কাটাকাটির খানিক পর প্রবল চিৎকারের আওয়াজ পান স্থানীয়রা। তাঁরা বুঝতে পারেন, হয়তো মারাত্মক কিছু ঘটে গিয়েছে। যারপরই দ্রুত পুলিশে খবর দেন তাঁরা। 


খবর পেয়ে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তিনজনকেই নিয়ে যায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। যেখানে বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়লেও আজ সকালে শেষ পর্যন্ত হার মানেন বাবা ও ছেলে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে পলাতক অভিযুক্তের।                                        


আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই শ্যুটআউট ! ঝাঁঝরা রাজু ঝা খুনে জড়িত গ্যাংস্টার, কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জেলে ?


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।