কলকাতা : দলের হাই কমান্ডের অভিনন্দন বার্তার পর উপনির্বাচনের ফলের জন্য শুভেচ্ছা জানালেন সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের ৬ প্রার্থীকেই তাঁদের বিপুল জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি কার্যত ধুয়ে দিয়েছেন বিজেপিকে। তৃণমূল নেত্রীর সুরেই বিজেপিকে জমিদার 'কটাক্ষ করেছেন তিনি। বিশেষ ভাবে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাদারিহাটের মানুষকে, যেখানে এই প্রথমবার পদ্ম সরিয়ে ফুটল ঘাসফুল। 


অভিষেক লেখেন, 'বাংলাকে বদনাম করার জন্য নিজেদের স্বার্থে জমিদার, সংবাদমাধ্যম এবং কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ নিজেদের স্বার্থে যে গল্প তৈরি করেছিল মানুষ তাকে খারিজ করে দিয়েছে। প্রথমবার সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য মাদারিহাটের মানুষকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। গণতান্ত্রিক পথে বাংলায় বিরোধীদের নির্মূল করে দেওয়ার জন্য মানুষকে আমার বিনম্র প্রণাম। সাধারণ মানুষ বিরোধীদের মিথ্যা প্ররোচনায় গুরুত্ব না দিয়ে আমাদের ওপরেই আস্থা রেখেছেন। জেলা, ব্লক এবং অঞ্চল ভিত্তিক তৃণমূল স্তরের কর্মীদের আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। তাঁদের কঠিন পরিশ্রম এবং মানুষের পাশে থাকার অক্লান্ত প্রচেষ্টাই বাংলার সম্মান এবং গর্বকে রক্ষা করেছে' ।  






তৃণমূল-ঝড়ে কার্যত খড়কুটোর মতে উড়ে গিয়েছে বিজেপি-সহ বিরোধীরা। আর জি কর-কাণ্ডের কোনও প্রভাবই পড়তে দেখা গেল না ছয় কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে। ৮ অগাস্ট,  আর জি কর হাসপাতালে, নিজের কর্মস্থলে নির্মমভাবে ধর্ষণ-খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। যা নিয়ে বেনজির বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। এই আবহেই কার্যত উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়। তাই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা ছিল এই ঘটনার প্রভাব পড়বে ভোটের ফলে। কিন্তু তা হল না। সিতাই, মাদারিহাট, মেদিনীপুর, তালডাংরা, হাড়োয়া, এবং নৈহাটির উপনির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থীরা। দুই কেন্দ্রে জয়ের ব্যবধান ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে।  


এই জয়ের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোও। তিনি লেখেন, 'মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ এটাই আমাদের পরিচয়। আমরা জমিদার নই, মানুষের পাহারাদার। আপনাদের আশিস আজীবন হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে। '  


আরও পড়ুন :  সরছেন, না কি সরতে হচ্ছে? BJP কি সন্ন্যাসের পথে ঠেলে দিচ্ছে দিলীপকে? জল্পনা বাড়ল তাঁরই মন্তব্যে