নয়াদিল্লি : বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যুবভারতীতে বিশৃঙ্খলাকাণ্ডে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। এই প্রেক্ষাপটেই, অরূপ বিশ্বাসের ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির ইচ্ছেপ্রকাশ ও তা গ্রহণ করে নেওয়াকে মুখ্যমন্ত্রীর রাজধর্ম পালন হিসেবে আখ্য়া দিচ্ছে তৃণমূল। তবে, বিরোধীদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে ড্য়ামেজ কন্ট্রোল করতেই, লোকদেখানো ব্য়বস্থা নিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রাজ্যপালের সমালোচনার জবাবে এবার মেসি-কাণ্ড নিয়ে পাল্টা বিজেপিকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Continues below advertisement

অভিষেক বলেন, "রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করুন। ওঁর এই বিবেক কোথায় ছিল যখন বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছিল, যখন পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ঘটেছিল, দিল্লিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল। আজ ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ উঠছে, মেসির সঙ্গে ছবি তোলার জন্য ইস্তফা দিতে হয়েছে...এটা যদি জনতার দাবি হয়, তাহলে সেইমতো উনি ইস্তফা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তা গ্রহণও করেছেন। বাংলা একমাত্র রাজ্যে যেখানে জবাবদিহি হয়। বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করুন, বলেছিল, নোটবন্দি করে কালো টাকা ফেরত দেব...দেশের প্রধানমন্ত্রীই তো বলেছিলেন। আজ ৪ হাজার দিন হয়ে গেল। রাজ্যপালের এটুকু বোঝা উচিত, জবাব যাকে দিতে হবে তিনি চুপ করে বসে আছেন। আর জবাব যার দেওয়ার দরকার নেই, সেই মুখ্যমন্ত্রী ১৩০ কোটি মানুষের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে একটা ছোট দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এটাই বিজেপি ও তৃণমূলের পার্থক্য।" 

যে দিনটা হওয়ার কথা ছিল স্বপ্নপূরণের, আনন্দের, সেই দিনটাই বদলে যায় বিশৃঙ্খলায়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসিকে দেখার জন্য কাতারে কাতারে দর্শক ভিড় জমিয়েছিলেন। তবে প্রিয় ফুটবলারকে দেখতেই পাননি সিংহভাগ সমর্থক। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। স্টেডিয়াম থেকে উড়ে আসে শ'য়ে শ'য়ে জলের বোতল। মাঠ-ময় ভাঙা চেয়ার। মেসি-বরণের দিনেই যুবভারতীতে 'লজ্জার দৃশ্য'। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যপাল সাংবাদিকদের বলেন, "ফুটবল আইকন মেসিকে উদ্যোক্তরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করেছেন। কয়েকজনের ব্যক্তিগত লাভের জন্য ফুটবলকে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর দায় কে নেবেউদ্যোক্তাদেরই এর জন্য হাত তুলতে হবে। আর পুলিশই বা কোথায় ছিলগতকালই সাধারণ মানুষের অনেকে আমায় ফোন করেছিল, বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছিলাম, তার থেকেই আঁচ পেয়েছিলাম কিছু ঘটতে পারে। রাজ্য সরকারকে সেইজন্য়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও বলেছিলাম। তবে কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের হওয়া উচিত।"

Continues below advertisement