নয়াদিল্লি: স্পিকার পদে বিরোধী শিবিরের তরফে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকে প্রার্থী করা নিয়ে, প্রাথমিকভাবে অসন্তুষ্ট ছিল তৃণমূল। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে প্রার্থী ঠিক করার অভিযোগ তুলে, ক্ষোভ স্পষ্ট করে দেয় তারা। পরে অবশ্য জট কেটে গিয়ে কে সুরেশকেই সমর্থন জানাবে বলে জানায় তৃণমূল কংগ্রেস। স্পিকার নির্বাচনে ধ্বনি ভোটে জয়লাভ করেন ওম বিড়লা। তারপর তাঁকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গাঁধী শুভেচ্ছা জানালেও অভিষেক কিন্তু রীতিমতো উষ্মাপ্রকাশ করেছেন স্পিকার নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে।
স্পিকার নির্বাচনে কেন ভোটাভুটি হল না? কেন ডিভিশনের অনুমতি দিলেন না প্রটেম স্পিকার? এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। নিয়ম বলে, ৫০০ জনের মধ্যে একজনও যদি ডিভিশন চায়, তাহলে ডিভিশন দিতে হবে... কেন দেননি সেটা তো প্রোটেম স্পিকারই বলতে পারবেন, যিনি চেয়ারে বসে ছিলেন তিনি বলতে পারবেন, তবে এটা নিয়ম বিরুদ্ধ, অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক।'অভিষেকের কারও দাবি, 'এটা স্পষ্ট যে, ক্ষমতায় থাকা বিজেপির হাতে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নেই। সংখ্যা ছাড়াই এই সরকার চলছে। এটা বেআইনি, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। '
অভিষককে চ্যালেঞ্জ করে সুকান্ত মজুমদার পাল্টা দাবি জানান , 'রাহুল গাঁধীজি কোনও ডিভিশন চাননি। ক্য়ামেরার সামনে ওঁর ছবি আছে। আপনারা দেখতে পারেন। তারমানে একই পার্টির মধ্য়ে ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে। সবথেকে বড় কথা, ডিভিশন চাইলে তো আপনার সাংসদদেরকে আনতে হবে। আজকে তৃণমূলের সাংসদ সবাই উপস্থিতই ছিল না।'
অন্যদিকে এদিন স্পিকার নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সুদীপ আর্জি জানান,'আপনার শুভকামনা থাকতে পারে। আপনার ভাল উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কিন্তু কখনও কখনও আপনি সরকারপক্ষের চাপের কাছে নতিস্বীকার করছেন, এটা আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে। একদিনে ১৫০ জন সাংসদের বহিষ্কার এই কক্ষে হয়েছে। এটা কখনই কাম্য নয়। '
সংবিধানে বলা থাকলেও, গত ৫ বছর লোকসভায় ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হয়নি। এবার ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ করা হবে, এবং সেই পদটি বিরোধীদের ছেড়ে দেওয়া হবে, এমন শর্তও মেনে নেয়নি মোদি সরকার। তার ফলেই বিষয়টি গড়ায় ধ্বনি ভোট পর্যন্ত।
আরও পড়ুন :
ডাম্পার আটকে তোলা হচ্ছে টাকা! সামনে দাঁড়িয়েও 'দেখতে পেল না' পুলিশ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।