কলকাতা: কর্ণাটকে (Karnataka) কুর্সি বদল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কংগ্রেসের (Congress)। গদি হারানোর পথে বিজেপি (BJP), কিছুক্ষণের মধ্যে ইস্তফা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ১৩৬টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৬৪টি আসনে। এখনও পর্যন্ত ২০টি আসনে এগিয়ে জেডিএস। অন্যান্যরা এগিয়ে ৪টি আসনে।                                                        


এই প্রেক্ষাপটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, 'কর্ণাটকে যেটা হয়েছে তা হল নো ভোট টু বিজেপি। এই যে ধর্মের সুড়সুড়ি, বিচ্ছিন্নতাবাদের রাজনীতি, মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে, ধর্মের ভিত্তিতে প্রচার, লাভ জিহাদের প্রচার, এগুলি কখনও রাজনৈতিক ইস্যু হতে পারে না। এই নির্বাচনী সভায় বিজেপি কখনই রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যম কর্মক্ষেত্রে উন্নতি এসব কিছু নিয়েই কথা বলেনি। ধর্মের নামে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে। বাংলার মানুষ প্রথম এই ধরনের মানসিকতাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। ২০২১ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা হাতে বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া আটকে দিয়েছিলেন। মানুষের পালস বুঝতে পারছেন না। আমরা খুব খুশি। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে যে পথ দেখিয়েছিল, কর্ণাটকের মানুষ এবার সে পথে হেঁটেছে।'          



কর্ণাটকে বিজেপির ভরাডুবির পর ট্যুইট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দেওয়ায় কর্ণাটকের জনগণকে কুর্নিশ। ক্ষমতার আস্ফালন পরাজিত হল। মানুষ গণতন্ত্রের জয় চায়. তখন তাঁদের কোনও কেন্দ্রীয় নীলনক্সা পরাজিত করতে পারে না। এটাই নীতিকথা এবং আগামীর শিক্ষা', ট্যুইট তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। 


অন্যদিকে, কর্ণাটক জয়ের পর ভালোবাসার বার্তা রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেস নেতা বলেন, 'জয়ের জন্য কর্ণাটকের জনগণ ও দলের কর্মীদের ধন্যবাদ। কর্ণাটকে শাসক-ঘনিষ্ঠ পুঁজিপতিদের সঙ্গে গরিব মানুষের লড়াই ছিল। কংগ্রেস ছিল গরিব মানুষের সঙ্গে। আমরা ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালোবাসার জন্য লড়াই করেছি। ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে ভালোবাসার দোকান খুলে গেল। ভালোবাসাই দেশকে ভাল রাখবে। ভোটে যে ৫ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই ৩টি পাস করাব', কর্ণাটকে ভোটে জিতে মন্তব্য রাহুল গাঁধীর।


আরও পড়ুন, কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পরই ২০২৪-এ একজোট হয়ে লড়াইয়ের বার্তা ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিনের