নয়াদিল্লি: কর্নাটকে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে ঘোষণা করেছিলেন আগেই। শনিবার সেই ফল হাতেনাতে মিলেই গেল না শুধু, ম্যাজিক সংখ্য়া পেরিয়ে ঐতিহাসিক জয় হাজিল করেছে কংগ্রেস (Congress)। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন দলের নেতা রাহুল গাঁধীও (Rahul Gandhi)। জানিয়ে দিলেন, কর্নাটকে ঘৃণার হার হয়েছে, জিতে গিয়েছে ভালবাসা (Karnataka Election Results 2023)।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত কর্নাটকে কংগ্রেস ১৩৭টি আসনে এগিয়ে
শনিবার দুপুর পর্যন্ত কর্নাটকে কংগ্রেস ১৩৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সেই আবহে দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাহুল। সঙ্গে ছিলেন জয়রাম রমেশও। কর্নাটকের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন করলে রাহুল বলেন, "সবার আগে কর্নাটকের মানুষ, দলের নেতা-কর্মী, যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন, সকলকে অভিনন্দন। কর্নাটকে একদিকে, পুঁজিবাদীদের প্রতিপত্তি ছিল, আর অন্য দিকে, দরিদ্র মানুষের শক্তি। আজ শক্তি, প্রতিপত্তিকে হারিয়ে দিয়েছে। আগামী দিনে প্রত্যেক রাজ্যে এমনই হবে।"
রাহুল এ দিন আরও বলেন, "কর্নাটকের দরিদ্র মানুষের পাশে রয়েছে কংগ্রেস। তাঁদের সমস্যা নিয়েই লড়েছি আমরা। আমার সবথেকে ভাল লেগেছে একটি বিষয়, তা হল, আমরা ঘৃণা এবং কটু শব্দের ব্যবহার করিনি। বুকে ভালবাসা নিয়ে লড়াই করেছি। কর্নাটক দেখিয়ে দিল, এই দেশে ভালবাসার কদর রয়েছে আজও। কর্নাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলেছে। এটা সকলের জয়। কর্নাটকের মানুষের জয়। কর্নাটকবাসীকে পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই তা পূরণ হবে।"
রাহুলের পদযাত্রাও কংগ্রেসের জয়ে সহায়ক হয়েছে
উল্লেখ্য, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র সময়ই রাহুলের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল, "নফরত কে বাজার মেঁ, মহব্বত কা দুকান খোলনে আয়া হুঁ।" তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এ দিন এমন মন্তব্য করলেন রাহুল। রাহুলের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'ও কর্নাটকে কংগ্রেসের এমন প্রত্যাবর্তনের পক্ষে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেসও একবাক্যে মেনে নিয়েছে সে কথা।
কর্নাটকে এ বার ক্ষমতাবদল হতে চলেছে। ফলাফলে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। গদি হারানোর পথে বিজেপি। কিছুক্ষণের মধ্যে ইস্তফা দেবেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়া। কংগ্রেস সেখানে ১৩৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি এগিয়ে ৬২টি আসনে। এখনও পর্যন্ত ২০টি আসনে এগিয়ে জেডিএস। অন্যান্যরা এগিয়ে ৪টি আসনে। ভোট শতাংশেও বিজেপির থেকে অনেক এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৩৬ শতাংশ, জেডিএস পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট।