কলকাতা: দলের বিরুদ্ধে যে'পরিবারতন্ত্রের' (Familism) অভিযোগ উঠছে, টিএমসিপি-র (TMCP) প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। 'জয় শা-কে (Jay Shah) কি রেলের প্ল্যাটফর্মে  পেয়েছিলেন', হালের জাতীয় পতাকা বিতর্ক প্রসঙ্গে কটাক্ষ প্রশ্ন তাঁর।


কী বললেন অভিষেক?
আজকের সমাবেশের আগেও বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ'পরিবারতন্ত্রের' অভিযোগ আনেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমাবেশ মঞ্চে পাল্টা জাতীয় পতাকা বিতর্কের প্রসঙ্গ তোলেন অভিষেক। সঙ্গে সংযোজন,'কথায় কথায় পরিবারতন্ত্রের কথা বলেন। কীসের পরিবারতন্ত্র? জয় শা-কে রেলের প্ল্যাটফর্মে পেয়েছিলেন?' তাঁর চ্যালেঞ্জ,'আপনি অধিবেশন চলাকালীন এত বিল আনেন। পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিল আনুন। প্রথম ভোট আমি দেব।' তার পরই জয় শা-কে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষ,'আপনার ছেলে বিসিসিআই-র সেক্রেটারি। কোনও দিন ধরেননি, বল ধরেননি।' অভিষেকের মতে, জয়ের কাছে আগে পদ, তার পর পরিবার, তার সমাজ, সকলের শেষে দেশ। জয় যুক্তি দিয়েছেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি থাকায় জাতীয় পতাকা হাতে তুলবেন না। যদিও বিজেপি নেতাদের মুখে সম্পূর্ণ অন্য কথা, মনে করেন অভিষেক। হালের এই জাতীয় পতাকা বিতর্কের প্রেক্ষিতে তাঁর দাবি একটাই। এমন ব্যক্তি যিনি দেশের জাতীয় পতাকা ধরতে ইতস্তত করেন তাঁকে বিসিসিআই থেকে বের করে দেওয়া হোক। সঙ্গে প্রশ্ন, 'তাঁর বাবার-ই বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার কী যোগ্যতা রয়েছে?' এই সমালোচনার জন্য তাঁকে যদি ইডি বা সিবিআই তুলে নিয়ে যায়, তাতেও আপত্তি নেই তৃণমূল সাংসদের। 


তোপে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব...
২১ জুলাই সমাবেশের পর রাজ্য রাজনীতিতে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কয়েক দিন পর গরু পাচার মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। পর পর দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির জেরে বিজেপি-সহ বিরোধীদের লাগাতোর আক্রমণের মুখে পড়েছে শাসকদল। এদিন তারও পাল্টা দেন অভিষেক। গরু চুরি থেকে কয়লা চুরি,সব কিছুতেই সোমবার বিজেপি নেতা তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙুল তুলেছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ বিএসএফ, সিআইএসএফের মতো সংস্থার নাকের ডগা দিয়ে কয়লা ও গরু চুরির অভিযোগ এনে তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য,'এর নাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেলেঙ্কারি কারণ এর টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে।' কিন্তু তৃণমূলের নাম কেন জড়াচ্ছে এতে?কেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ? অভিষেকের ব্যাখ্যা,'বিজেপির অশ্বমেধের ঘোড়া একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায় আটকে দিয়েছেন, এই জন্যই ওঁদের গায়ের জ্বালা।' তাঁর দাবি, বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের সঙ্গে বেইমানি করার অভিযোগ আনছে, তা সর্বৈব মিথ্য়া। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি আজ বাংলার ঘরে ঘরে, সংযোজন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। বরং বিজেপি বাংলার মানুষকে বঞ্চিত রাখতে চায়, অভিযোগ তাঁর।


আরও পড়ুন:কত চাকরি হয়েছে ? কত বাকি ? পরিসংখ্যান চেয়ে বামেদের নিশানা মমতার