কলকাতা: সদ্যোজাতকে বাঁচাতে টালিগঞ্জের (Tollyganj) পরিচালকের ফেসবুক পোস্ট। তা দেখেই শিশুর চিকিত্সায় এগিয়ে এল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। তিনদিন আগে দমদমের আইএলএস হাসপাতালে পুত্রসন্তান প্রসব করেন নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা জয়ন্ত দেবনাথের স্ত্রী। জন্মের পরেই সদ্যোজাতর হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।


কিন্তু আর্থিক সংস্থান না থাকায়, অন্য হাসপাতালে নবজাতককে ভর্তি করতে পারছিল না পরিবার। এরপরই পরিচিতর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ফেসবুকে পোস্ট করেন টালিগঞ্জের পরিচালক অনির্বাণ মাইতি। সোশাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্ট দেখে সক্রিয় হয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টিম। তাদের তত্পরতায় অসুস্থ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে আর এন টেগোর হাসপাতালে।


গতকাল রাতে থেকেই ফেসবুকে ঘুরছিল পোস্টটি। সেখানেই জানানো হয় দু-দিনের সদ্যোজাতর তখনই চিকিৎসার প্রয়োজন। বিভিন্ন গ্রুপেও পৌঁছয় সেটি। এরপরই নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। পোস্টটি শেয়ার করেন অনির্বান মাইতিও। এরপরেই সাড়া মেলে।  


কিছুদিন আগে এসএসকেএমে (SSKM Hospital) সদ্যোজাত ও প্রসূতির মৃত্যু (Child and Mother Death) ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকালই নার্সিংহোম থেকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয় তপসিয়ার বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বাকে। পরদিন সকাল সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়। এর পরই উত্তেজনা ছড়ায়। মৃতের আত্মীয়রা ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে পড়েন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


মৃতের পরিবারের দাবি, ভর্তি নিতেই টালবাহানা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সায় গাফিলতিতে মা ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে যায় ভবানীপুর থানার পুলিশ। লালবাজার থেকে আনা হয় বাহিনী। এই নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


পাশাপাশি আরও একটি ঘটনা ঘটে বর্ধমানে  প্রসবের সময়ে বেড থেকে নিচে পড়ে যায় সদ্যজাত। এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আইসিইউতে (ICU) শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানে (Burdwan)। বর্ধমান হাসপাতালের (Burdwan Hospital) প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক নার্সদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বর্ধমান থানায় (Burdwan Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছে প্রসূতি ও তাঁর পরিবার।