কলকাতা: বিজেপি-র নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর হাঙ্গামী-হুজ্জতি দেখেছে বাংলা। ইটবৃষ্টি, দেদার ভাঙচুর, আগুন জ্বলতে দেখা গিয়েছে হাওড়া-কলকাতায়। এমনকি নিরস্ত্র অবস্থায় পুলিশকে ধরে বেধড়ক মারধরের দৃশ্যও সামনে এসেছে। সেই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) পুলিশের সংযমের প্রশংসা করেইছেন। তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek banerjee) পুলিশের সহনশীলতা, ধৈর্য এবং সংযমের প্রশংসা করলেন। কিন্তু তারই সঙ্গে বাম জমানার বাংলার সঙ্গে তাঁদের সরকারের তুলনা টানলেন তিনি।
বিজেপি-র নবান্ন অভিযান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের
বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালে যান অভিষেক। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, "পুলিশের কাছে সহজ উপায় ছিল। গুলি চালালে, ১০টা লোক মরলেই আন্দোলন বন্ধ হয়ে যেত। ২১ জুলাই, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, সিপিএম-এর আমলে তেমনই হয়েছে। যাঁরা প্রশ্ন তোলেন বাংলায় কী পরিবর্তন হয়েছে, এটাই সেই পরিবর্তন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আমলে যে পুলিশ রয়েছে রাজ্যে, তারা সংবেদনশীল, সংযত এবং ধৈর্যশীল।"
শুধু তাই নয়, গতকাল হাওড়া-কলকাতায় আগুন জ্বললেও, বামেরা একবারও তার নিন্দা করলেন না কেন, এ দিন সেই প্রশ্নও তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন,"কই কাল থেকে তো একটি বিবৃতিও দেয়নি সিপিএম! একবারও বলল না তো যে আমরা এই ধরনের আন্দোলন সমর্থন করি না! কারণ এদের গুন্ডারা, হার্মাদরাই এখন বিজেপি-তে ঢুকে পড়েছে। আগে যে কায়দায় বাংলায় অশান্তি করত, এখনও তা-ই করছে। শুধু জার্সি পাল্টে ফেলেছে। আগে ছিল লাল, এখন পরনে গেরুয়া জার্সি। লাল ঝান্ডা ফেলে গেরুয়া পতাকা তুলে নিয়েছে হাতে। ইনকিলাম জিন্দাবাদের পরিবর্তে এখন মুখে জয় শ্রী রাম। যারা মরিচঝাঁপি করেছে, ২১ জুলাই করেছে, সিঙ্গুর করেছে, নন্দীগ্রাম করেছে, তারাই আজ আগুন লাগাচ্ছে। এদের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করুন, সব বেরিয়ে আসবে।"
বিজেপি-র নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে
নবান্ন অভিযানের নামে পরিকল্পনা করে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে এ দিন অভিযোগ করেন অভিষেক। শান্তিপূর্ণ অভিযানে পেচ্রোল কোথা থেকে এল, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, আন্দোলনের নামে গুন্ডামি, রাহাজানি চালিয়েছে বিজেপি। আন্দোলনের নামে পেট্রোল-ডিজেল নিয়ে রাস্তায় নামা হয়। নিরস্তর অবস্থায়, একা পেয়ে পুলিশের উপর চালানো হয় হামলা। গোটা ঘটনায় আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক।