কলকাতা: নবান্ন অভিযানের মুখে মহিলা পুলিশের সঙ্গে তাঁর বাক্য বিনিময় ঘিরে গতকাল থেকে জোর চর্চা (BJp Nabanna Abhijan)। তৃণমূলের তরফে এ নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ উড়ে এসেছে যেমন, তেমনই মিমে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে মহিলা পুলিশ কর্মীর উদ্দেশে বলা 'ডোন্ট টাচ মাই বডি' মন্তব্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)বিরুদ্ধেই এ বার মারাত্মক অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর দাবি, মহিলা পুলিশ দিয়ে তাঁকে ঘিরে ধরা চক্রান্তের অংশ ছিল।
মহিলা পুলিশের প্রতি আচরণ নিয়ে বুধবার শুভেন্দুকে একহাত নেন অভিষেকও। তিনি বলেন, "উনি বলেন মহিলাদের মা দুর্গা হিসেবে দেখি, তাহলে মহিলা পুলিশ গায়ে হাত দিলে আপত্তি কীসের?’মহিলাদের মা দুর্গা বললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ কেন?"
এর পরই বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকালের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "কাল ওখানে জ্ঞানবন্ত সিংহ ছিলেন। উনি তো কলকাতা পুলিশের কেউ নন! তাও কেন ওঁকে হাজির করা হল ওখানে! জ্ঞানবন্ত এসে ইশারা করলেন। সঙ্গে সঙ্গে আটজন মহিলা আধকারিক -কর্মীরা চলে এলেন। তাঁরা প্রত্যেকে পুলিশের পোশাকে ছিলেন না। জগিংয়ের পোশাকে ছিলেন। গোটাটা পরিকল্পিত চক্রান্ত। এঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যিনি, তিনি হিন্দিতে কথা বলছিলেন, ক্রিস্তানিয়া মারিয়া বলে একজন পুলিশের লেডি এসআই। তিনি আমার কাঁধে অনেক বার ধাক্কা মেরেছেন, চেপে ধরেছিলেন। তখনি ওই কথা বলি আমি।"
এই গোটা ঘটনাক্রম পরিকল্পনা অনুযায়ীই এগিয়েছে বলে দাবি করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "আপনারা দেখেছেন। আমি বলেছি, আপনি মাতৃশক্তি, আমি পুরুষ। আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি সম্মানীয়া মহিলা, মায়ের জাত। এটা সবাই দেখেছে। এটা ওদের, ভাইপোর এবং জ্ঞাবনবন্তের পরিকল্পনা, যা ব্যর্থ হয়েছে। আইপিএস, সিভিল ড্রেসের পুলিশ, সবাই সরে গিয়েছিল। আমি প্রতিক্রিয়া দিই যদি, তার জন্য আটজন মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় আমাতে শারীরিক ভাবে...। আমি প্রতিক্রিয়া জানাইনি। জানালেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হত।কিন্তু জালে পা দিইনি আমি। কারণ এসআই ছিলেন সংখ্যালঘু এবং মহিলা। এই ফাঁদে পা না দেওয়াটাই গায়ে লেগেছে ভাইপোর।"