আশাবুল হোসেন, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : ভোটের ( Panchayat Poll ) আগেই ভোট! পঞ্চায়েতের আগে এবার ভোটাভুটির পথে তৃণমূল ( TMC ) ! তা-ও আবার প্রার্থী ঠিক করতে! পঞ্চায়েত মানে গ্রামের ভোট! আর পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী খুঁজতেও, এবার গ্রাম চষে বেড়াবেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ( Abhishek Banerjee ) । বৃহস্পতিবার তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির অধীনে জনসংযোগ যাত্রা এবং গ্রাম বাংলার মমতামত নামে দুটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্য়ে গ্রাম বাংলার মতামত কর্মসূচিটি মূলত তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থী খোঁজার জন্য়।
যেখানে গোপন ব্য়ালটে ভোটের মাধ্য়মে বেছে নেওয়া হবে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' এই প্রথম ভারতবর্ষে কোথাও এই প্রয়াস, পঞ্চায়েত পরিষ্কার করা। মানুষ যাকে সার্টিফিকেট দেবে, তাকেই পঞ্চায়েতে পাঠাব। '
আরও পড়ুন :
২৫ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন, টানা ২ মাস জেলাতেই অভিষেক, ভোটটা কবে?
গোপন ব্য়ালটে ভোটের মাধ্য়মে বেছে নেওয়া হবে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থী
OTT-তে পঞ্চায়েত সিরিজের ফুলেরা গ্রাম দেখে গোটা ভারত মুগ্ধ হয়েছে। শান্ত পরিবেশ-পরিষেবা নিয়ে ঝগড়া হলেও, তা হাসির মোড়কে! কিন্তু, এ রাজ্য়ে পঞ্চায়েত মানে কিন্তু একটু অন্য়রকম। দলাদলির ব্য়াপক অভিযোগ, ভোট ঘিরে ব্য়াপক সংঘর্ষ, সে যেন কুরুক্ষেত্র! আর এবার সামনে সেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, গোপন ব্য়ালটে ভোটের মাধ্য়মে বেছে নেওয়া হবে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থী।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নামছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ২৫ এপ্রিল থেকে টানা দুমাস ধরে জেলায় জেলায় ঘুরবেন তিনি। অভিষেক জানান, জনসভা করে ক্যাম্পে ফিরে যে জেলায় ক্যাম্প সেখানে জেলা প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে বুথ সভাপতি পর্যন্ত সবাইকে ডাকা হবে। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। গোপন ব্যালটে তাঁদের মতামত নেওয়া হবে। কাকে প্রার্থী চাইছেন, কোথা থেকে আসছেন ব্যালটে লিখে দেবেন। ওয়েবসাইট থাকবে, পঞ্চায়েতের অধিবেশনে না আসতে পারলে সেখানে মতামত জানাতে পারবেন। যারা ভোট দেবেন নির্দ্বিধায় জানাবেন, কারণ সিক্রেট ব্যালট। কোনও জেলার নেতা জানতে পারবে না। সই থাকবে না, ঠিকানা থাকবে না।
অনেকে বলছেন, প্রার্থী বাছাই বা জনসংযোগ তো দলের বিষয়! কিন্তু, ভোটারদের চিন্তা হল, পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে তো? প্রত্য়েকে নিজের ভোট দিতে পারবেন তো? ২০১৮-র পুনরাবৃ্ত্তি হবে না তো?