সোদপুর: সুপ্রিম কোর্টের এর নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করতে না পারাতেই এত সংখ্যক মানুষকে চাকরি হারাতে হয়েছে। সেই নিয়ে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালত নয়, আদালতের রায়ের সমালোচনা করেছেন তিনি। এই রায়ের মধ্যে 'বাংলার প্রতি বিজেপি-র বৈমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিফলন' রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। (Abhishek Banerjee)

Continues below advertisement

শনিবার সোদপুরে জগন্নাথ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন অভিষেক। ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও। সেখানে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে গিয়েই চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গ উঠে আসে অভিষেকের মুখে। আদালতকে সম্মান জানালেও, আদালতের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার নাগরিকদের আছে বলে মন্তব্য করেন। (Abhishek on SSC Scam Case)

চাকরি বাতিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, "এখানে রাজনৈতিক কথা বলা ঠিক নয়। কিন্তু SSC নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে রায়...আদালতকে সম্মান করি, মর্যাদা দিই, বিশ্বাস করি বিচারব্যবস্থা এখনও মাথানত করেনি, বিচারব্য়বস্থা এখনও নিরপেক্ষ বলে। কিন্তু কোনও রায় যদি পছন্দ না হয়, তা নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার ভারতীয়দের সংবিধানই দিয়েছে। আমার কোথাও যেন মনে হচ্ছে, বাংলার মানুষের প্রতি বিজেপি-র যে ধারাবাহিক বৈমাতৃসুলভ আচরণ এবং মানসিকতা, এই রায়ে তার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি।"

Continues below advertisement

নিজের মন্তব্যের সাপেক্ষে যুক্তি দিয়ে অভিষেক বলেন, "আমি কেন বলছি! প্রায় ৫৯ লক্ষ জব কার্ড হোল্ডার। ১০-১৫ জন ভুল করেছে বলে ৬০ লক্ষ গরিব মানুষের টাকা বন্ধ। বাড়ির ক্ষেত্রে যদি ১০০০ জনও ভুল করে থাকে, তাহলে সেই ১০০০ জনকেই শাস্তি দিতে হবে। ১০০০ জনের জন্য ১৭ লক্ষের বাড়ির টাকা আটকে রাখতে পারেন না। যদি অযোগ্য কেউ চাকরি পেয়ে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক, তদন্ত হোক, শ্রীঘরে পাঠান তাকে, চাকরি যাক, টাকা ফেরত দেওয়া করান। কিন্তু কিছু অযোগ্যের জন্য আপনি ১৬-১৭ হাজার যোগ্যের চাকরি কেড়ে নিতে পারেন না। আমি এখানে বিজেপি-র ধারাবাহিকতা দেখছি, যে একজন ভুল করেছে , তার জন্য পুরোটা হাতিল করে দাও। হাসপাতালে একজন ভুল করলে গোটা হাসপাতাল কি বন্ধ করে দেওয়া উচিত?"