শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার পর ফের তৃণমূলে ভাঙন। এবার খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের ভেটাগুড়িতে বিজেপিতে নাম লেখালেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা।
দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও দিনহাটা ১-এর বি ব্লকের যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি।
তৃণমূলের দাবি, ভয় দেখিয়ে দলত্যাগ করানো হয়েছে। ২৫ এপ্রিল, কোচবিহারের দিনহাটা থেকে নবজোয়ার যাত্রা শুরু করেন অভিষেক। যেখানে যেখানে অভিষেক সভা করেছেন, সেখানেই তৃণমূলে ভাঙন ধরানোর চ্যালেঞ্জ ছোড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সেই অনুযায়ী, এই নিয়ে তিনবার নিশীথের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা।
এক নজরে সাম্প্রতিক দলবদল
- ৩০ এপ্রিল, ভেটাগুড়িতে তৃণমূলত্যাগ।
- ৩ মে, গোসানিমারিতে তৃণমূলে ভাঙন।
- ১০ মে, ভেটাগুড়িতে ফের দলত্যাগ তৃণমূল শিবিরে।
তবে অভিষেকের পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার নিশীথ প্রামাণিক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোচবিহারে জনসংযোগ যাত্রায় স্থানীয় বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী। ২৫ এপ্রিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি কোচবিহারের দিনহাটা থেকে 'তৃণমূলে নব জোয়ার' কর্মসূচিতে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ দিনের মাথায় সেই দিনহাটাতেই জনসংযোগ যাত্রা করলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ।
সোমবার ভেটাগুড়ি দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ। শোনেন অভাব, অভিযোগ এবং দাবিদাওয়ার কথা। অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে নিশীথ প্রামাণিক গ্রামবাসীদের বলেন, উন্নয়নের টাকা নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদের তহবিলের টাকা নিতে চাইছেন না স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান।
এই জনসংযোগ যাত্রা থেকে অভিষেককে নিশানা করেছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি বলেন, কার্যকর্তাদের সঙ্গে শুধু দেখা করা নয়। গরিব, শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। প্রকৃত জনসংযোগ কাকে বলে অভিষেকের শেখা উচিত। ও যেখানে সংগঠন করতে যাচ্ছে, সেখানে সংগঠন ভেঙে যাচ্ছে। মানুষের মুখ দেখুন, সবাই কত খুশি আমাকে দেখে।
আরও পড়ুন, ফ্রিজে রাখা তরমুজ খাচ্ছেন গরমে? ভুলেও এই ভুল করবেন না!