কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: দুর্নীতির অভিযোগে যখন কার্যত তোলপাড় রাজ্য। তখনই বর্তমান একাধিক পরিস্থিতি নিয়ে একান্তে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কথায় কথায় উঠে এল একাধিক প্রশ্ন। উত্তরও দিলেন তিনি। এ দিন পুরনো একটি ভিডিও-র বক্তব্য তুলে প্রশ্ন করা হয় ব্রাত্য বসুকে। 


কী ছিল পুরনো ভিডিওতে? এর আগে পুরনো সেই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে একটা সভায় চাকরি ইস্যুতে বক্তব্য রাখছেন ব্রাত্য বসু। বলছেন, 'চাকরিটা তৃণমূলের ছেলেমেয়েরাই পাবে। একটা তৃণমূলের ছেলে ছাড়া পাবে না। এটা সিম্পল, আর কিছু নয়। কীভাবে পাবে, কোথায় পাবে, কেন পাবে সেসব আমি বলব না। কিন্তু এটা হবে। হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। 


কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী? এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি ইস্যুতে বারবার সুর চড়িয়েছে বিরোধী দল। এ দিন এ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন।  'এটা যখন বলেছি, তখন ২০২১-এ সবে নির্বাচনে জিতে এসেছি। আমায় তখন দল থেকে বারবার বলা হচ্ছিল কর্মিসভা করো, সামনে পুরভোট হবে। যদিও তখন পুরভোট হয়নি কিন্তু তোড়জোড় চলছিল। তখন আমি পার্টির নির্দেশে সভা করলাম, বক্তৃতা ভাইরাল হল। কিন্তু ঠিক কী বলেছিলাম?'


খানিক থেমে শিক্ষামন্ত্রীর পাল্টা প্রশ্ন, 'আমার কর্মিসভায় আমার ছেলেমেয়েদের কী বলব? আমি কি বলতে পারি যে সিপিএম-এর ছেলেদের চাকরি হবে, বিজেপির ছেলেদের চাকরি হবে?' কিন্তু প্রশ্ন, চাকরি তো মেধার মিলবে ভিত্তিতে? এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর উত্তর, 'আমি তো নির্দিষ্ট কোনও দফতরের কথা বলিনি। আমি দলীয় নেতা হিসেবে বলেছি।' কিন্তু কোন চাকরির কথা বলছেন ব্রাত্য বসু? এ দিন তিনি বলেন 'আমি দলের প্রতিনিধি হিসেবে চাকরির সুপারিশ করতেই পারি। আমি এমএলএ হিসেবেই কথা বলছি। সব চাকরি মেধার ভিত্তিতে হয় নাকি? আমি তো চাকরি দিয়েছি। দেবও। কোন চাকরির কথা বলছি? আমার মন্ত্রী কোটায় যে চাকরি।' 


ব্রাত্য বসুর চ্যালেঞ্জ: এ দিন ফের একবার শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করেন, 'আমার কোটার ন্যাহ্য চাকরি আমি তৃণমূলের ছেলেমেয়েদেরই দেব। আমি জানি, আমার সঙ্গে যাঁরা মিছিলে হাঁটে, পতাকা ধরে, দেওয়াল লেখে তাঁরা এই চাকরির দিকে সত্যিই চেয়ে আছে। বাকি থাকল দুর্নীতির প্রশ্ন, আমি এই সাত বছরের যাঁদের চাকরি দিয়েছি প্রত্যেকের নামের তালিকা দিচ্ছি। তাঁদের থেকে একটা আলপিন নিয়েছি বা একটা সন্দেশও খেয়েছি দেখাতে পারেন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।