কলকাতা : খবরের সঙ্গে দিন রাত। এতগুলো বছর 'আনন্দ'-সংসারে বাস। লম্বা সেই পথ চলা থেমে গেল রবিবার সন্ধেয়। মাত্র ৫০ বছর বয়সে অকালপ্রয়াণ ঘটল এবিপি আনন্দর সাংবাদিক সন্দীপ সরকারের।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত কাজ করেছেন পুরোদমে। পায়ে চোট লাগার পর সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। গত সোমবার থেকে ভর্তি ছিলেন মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। গোটা শরীরে সেপ্টিসেমিয়া ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমেই অবনতি ঘটছিল শারীরিক অবস্থার। ৬ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়েছিলেন । বুধবার ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি। পায়ের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। সেপ্টিসেমিয়া ছড়িয়ে পড়ে। সমস্ত অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে শুক্রবার সন্ধেয় জরুরি ভিত্তিতে ডান পা বাদ দেওয়া হয়। সংকটজনক থাকলেও শেষ চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। রক্তচাপ প্রবল ওঠানামা করা শুরু হয়। তারপর থেকেই আরও অবনতি। শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার নিভে যায় জীবনদীপ। ৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে নটা নাগাদ আচমকা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টেই শেষ সবকিছু । হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাংবাদিক সন্দীপ সরকার।
১৯৭৪ সালে ৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্ম। যাদবপুর বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক, তারপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতক, সেখান থেকেই সাংবাদিকতার পাঠ নেন। জার্নালিজমে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করার পর পেশাদারি সাংবাদিক জীবনের শুরু। তারপর থেকে খবরের সঙ্গেই কাটত দিন-রাত। সন্দীপ সরকারের অকালপ্রয়াণে শোকাহত এবিপি আনন্দ পরিবার।