কলকাতা: 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস' কেবল খাওয়ার উৎসব নয়, এই এবিপি আনন্দর এই আয়োজনে মুড়ে রয়েছে বাঙালিয়ানা। সাউথ সিটি (South City) মলের কাছে ইইডিএফ (EEDF) মাঠ অর্থাৎ তালতলা গ্রাউন্ডে আয়োজিত 'খাইবার পাস' (Khaibar Pass 2022) চলবে ৬ মার্চ পর্যন্ত। 


রকমারি খাবারের পসরা নিয়ে 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস' -এ হাজির রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের রেস্তোরাঁ সহ একাধিক নামী মিষ্টি ও আইসক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থা। প্রথমদিন সন্ধে নামতেই মানুষের ঢল নামল মাঠে। প্রত্যেকেই চেখে দেখতে ব্যস্ত বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার। সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে বাঙালি রান্নার আস্বাদ, বিশাল সাইজের রোল, পুলি পিঠের স্বাদ চেখে দেখতে ব্যস্ত সবাই। ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলল এক পরিবারের। বাবা, মা আর দুই মেয়ে। সবাই তখন খেতে ব্য়স্ত। কারও প্লেটে ফিসফ্রাই, কারও প্লেটে চিকেন কবিরাজী আর মাছের বিভিন্ন পদ। চাকুরিসূত্রে এক মেয়ে থাকেন মুম্বই। ৫ বছর পরে কলকাতায় এসেছেন তিনি। বাকি পরিবার থাকেন বেঙ্গালুরুতে। বাংলার বাইরের স্বাদ যেন ভুলতেই বসেছিলেন এই পরিবার। 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস'-এ এসে খুশি তাঁরাও। বললেন, 'বাড়িতে নিয়ে যাব বিরিয়ানি। আর মিষ্টি, পাটিসাপটা এইসব নেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। এতদিন পরে এখানে এসে পুজো, পুজো মনে হচ্ছে। এই বাঙালিয়ানা আমরা মুম্বই, বেঙ্গালুরুতে পাই না। এখানকার আমেজটাই আলাদা।'


আরও পড়ুন: আইসক্রিম পরিবেশনের মজার পদ্ধতি, সঙ্গে নলেন গুড়ের স্বাদ, 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস'-এ হাজির 'টার্কিশ আইসক্রিম'


কেউ কেউ আবার এসেছেন বইমেলা থেকে। বই কেনার পর, রসনা তৃপ্তির ঠিকানা হতেই পারে খাইবার পাস। হাতে খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই দোকান থেকে ওই দোকান, দেখে দেখছেন সবই। কোথাও কোথাও আবার দেখা মিলেছে ঝুঁটি বাঁধা একরত্তিদেরও। ভরপুর পেটপুজোর পরে শেষপাতে রয়েছে মিষ্টি। উচ্ছসিত সেই খুদের উত্তর, 'চিকেন তন্দুরী মোমো খেয়েছি, তন্দুরী কাবাব খেয়েছি। তারপর শেষপাতে ল্যাংচা।'


বাঙালিয়ানায় মিশেছে মুঘলাই স্বাদ, পুলি পিঠের মিষ্টির স্বাদ বাড়িয়েছে আমের রসনা। রয়েছে খাঁটি ঘি, খেজুর গুড় সংগ্রহের সুবিধা। ভার্চুয়াল নয়, অ্যাকচুয়াল স্বাদ পেতে আগামী রবিবার পর্যন্ত খাদ্যরসিক বাঙালির ঠিকানা হোক 'এবিপি আনন্দ খাইবার পাস'।