সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের (Kaliganj Minor Murder) প্রতিবাদে রায়গঞ্জে (Raiganj) এসপি অফিস ঘেরাও (SP Office Gherao) অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP)। এবিভিপির অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। ব্যারিকেড করে মিছিল আটকাল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন এবিভিপি সদস্যরা। তাতেই ধস্তাধস্তি। কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডের পর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'বাংলায় আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন, দুঃখের বিষয় ভাইপোর নবজোয়ারের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যস্ত পুলিশ, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যার মূল্য চোকাতে হচ্ছে মহিলাদের, রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে দুর্বৃত্তরা সাহস পাচ্ছে', ট্যুইট করেন তিনি। পাল্টা তোপ দাগেন কুণাল ঘোষ। বলেন, 'শকুনের রাজনীতি করছে বিজেপি, উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকাক'।


ক্ষুব্ধ কমিশন...
এদিনই বিস্তর টানাপড়েনের পর জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো-র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের। রায়গঞ্জের সার্কিট হাউসে রয়েছেন প্রিয়াঙ্ক। আজ সকালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান উত্তর দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক। সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক এবং কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার। ছিলেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ভাস্করজ্যোতি দেবনাথও। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গত কালই জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের গতিবিধিকে নিশানা করে একের পর এক ট্যুইট করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশন।


কী জানা গেল?
সন্দেহভাজন তৃণমূল প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি, অভিযোগ কমিশনের চেয়ারপার্সনের। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে চাওয়ায় ২ জনকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি প্রিয়াঙ্কের। এতেই শেষ নয়। তাঁর মতে, তিনজনের বক্তব্যে ফারাক রয়েছে। এর থেকেই অনুমান, কোনও কিছু আড়াল করার চেষ্টা চলছে।


জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দ্বৈরথ... 
ট্য়ুইটে লেখা ছিল, '১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কালিয়াগঞ্জে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের দল। জাতীয় শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের এই ভূমিকা লজ্জাজনক। যেভাবে এনসিপিসিআরের চেয়ারপার্সন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো রাজ্যের শিশু ও মহিলাদের সম্পর্কে মন্তব্য করছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। 'তথ্য যাচাই না করেই তিনি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছেন তিনি। তাঁর এই ধরনের মন্তব্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যাদের শিশুদের অধিকার রক্ষার কথা, তাঁরাই শিশুর মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছে। আইন ভেঙে রাজ্যের কমিশনকে অগ্রাহ্য করে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।' 


 


আরও পড়ুন:জীবনের 'অর্ধশতরান', শুভেচ্ছা-বহরে ভাসছেন ক্রিকেটঈশ্বর