ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: তাজপুর (Tajpur) থেকে শংকরপুর যাওয়ার মেরিন ড্রাইভের রাস্তা গত বছর জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক হারে প্লাবিত হয়েছিল। তারপর থেকেই এই রাস্তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।এবার বর্ষা আসার আগে সেই মেরিন ড্রাইভের কাজ শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বাঁধানো হচ্ছে সমুদ্রের গার্ডওয়াল।


এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেরিন ড্রাইভের পাশে থাকা গাড়ওয়াল এর উচ্চতা না বাড়িয়ে  পাড় বাঁধিয়ে বা রাস্তা তৈরি করে কোনও লাভ নেই।কারণ ফের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হবে এই এলাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে ফের মেরিন ড্রাইভ। বিজেপির অভিযোগ, গত বছর থেকে এই মেরিনড্রাইভের রাস্তা ও পাড় বানানোর কাজ চলছে। কিন্তু এখনও শেষ হল না সেই কাজ। শুধু ভাঙ্গা আর গড়ার খেলা চলছে। বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেরিনটাই বারবার টেন্ডার হচ্ছে।আর সেই সমস্ত টেন্ডারের কমিশনের টাকা পকেটে ঢোকাচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা।


যদিও এলাকার বিধায়ক তথা কারামন্ত্রী অখিলগিরি জানিয়েছেন। এবার টেকনিক্যাল সাপোর্ট নিয়ে ও খড়গপুর আইআইটির টিমের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে গাড়ওয়াল,ও সারানো হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ। যাতে ওই এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা কমানো যায় সেজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।তাই এবার জলোচ্ছ্বাসে এই রাস্তা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবার জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের প্লাবিত হতে হবে নাতো ? তাজপুর থেকে শংকরপুর যাওয়ার মেরিন ড্রাইভ সারানোকে কেন্দ্র করে, রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝে উৎকণ্ঠায় ভুগছেন এলাকাবাসী।


বছরটা ছিল ২০২১ সাল। কৌশিকী অমাবস্যা ও প্রবল বৃষ্টির জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা উপকূল জুড়ে জলোচ্ছ্বাস। গার্ডওয়াল টপকে জল ঢুকে পড়েছিল দিঘা শহরে। কাঁথির শৌলায় বাঁধ না থাকায় সমুদ্রের জল গ্রামে ঢুকছিল বলে দাবি তুলেছিল সেবার গ্রামবাসীরা।দিঘায় উত্তাল সমুদ্র। গার্ডওয়াল টপকে শহরে ঢুকছিল জল। কটালে প্লাবিত বিভিন্ন এলাকা। রাস্তা পেরিয়ে বাজার এলাকাতেও চলে এসেছিল জল। সমুদ্রের তীরে কড়া নজর ছিল প্রশাসনের। সেবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা থেকে আসা একট ট্রলার ডুবে গিয়েছিল দিঘার উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে।


আরও পড়ুন, 'ভয় পাচ্ছে BJP', অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার আগে নিশানা কুণালের


সৃজা নামের একটি ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়েছিল। এবংট্রলার থেকে ৬ জন মৎস্যজীবী সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তাঁদের ছিল অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু এত গেল জলোচ্ছ্বাসের একটা ভয়াবহ দিক।অপরদিকে জলোচ্ছ্বাস সরে গেলেও মেরিনড্রাইভের উপর বড় প্রভাব ফেলে রেখে যায়। যার খুবই দীর্ঘ মেয়াদি সমস্যা। মাসের পর মাস পার হয়ে গেলেও তার ভোগান্তি বাড়ে বই কমে না বলেই দাবি গ্রামবাসীদের।