'পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত', হরিদেবপুর ( Haridevpur Death Case) জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় দাবি তৃণমূল কাউন্সিলরের। উল্লেখ্য, হরিদেবপুরে বালকের মৃত্যুতে এমনিতেই আরও একবার বেহাল দশা বেরোতেই বিতর্ক মোড় নিয়েছে। আর এহেন পরিস্থিতির মাঝে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর। অভিযোগের আঙুল ঘুরল ৩৬০ ডিগ্রি।


আরও পড়ুন, 


  'বিয়ে করেছিলাম, খুন নয়', যাদবপুরের মহিলার রহস্যমৃত্যুতে আটক হতেই বিস্ফোরক সঙ্গী 


বৃষ্টিতে শহরের রাস্তার জমা জলে ওত্‍ পেতে মরণফাঁদ। ফের পুরোনো দৃশ্য ফিরে এল চেনা শহরে। বৃষ্টির জমা জলে ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুূর ঘটনা ঘটল হরিদেবপুরে। মূলত গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বরাবরের মতোই হরিদেবপুরে জল জমেছিল। এদিকে জমা জলের মাঝেই বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভের তার বেরিয়ে থাকলে যে আদতে তার খবর কেউ রাখে না, তার আরও একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হরিদেবপুর। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন লাইটপোস্টে হাত দিতেই হরিদেবপুরে তড়িদাহত হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়ার। এদিকে তারপরেই কি হুঁশ ফিরল প্রশাসনের, প্রশ্ন উঠেছে। কারণ দুর্ঘটনার পরেই দুটি পাম্প চালিয়ে জমা জল নামাল পুলিশ। কিন্তু দেরি কেন, জানতে চায় প্রতিবেশীরা।


 তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূর বলেন, 'জমা জল সরাতে পাম্প চালাতে বলেছিলাম।' তিনি আরও বলেন, 'ঠিকাদার জানান, ওয়ার্ক অর্ডার নেই।' তবে 'পাম্প চালালে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত' হরিদেবপুর জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনায় দাবি ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রত্না শূরের। এই ঘটনায় সিইএসসি (CESC) আগেই দাবি করে, ওই বাতিস্তম্ভ তাঁদের নয়। স্থানীয় কাউন্সিলর রত্না শূরের দাবি, 'বিএসএনএল (BSNL)-এর পোস্ট ব্যবহার করে পুরসভাই আলো লাগিয়েছিল। দিনকয়েক আগে ওই বাতিস্তম্ভের গোড়ায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল।' এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর।অপরদিকে, হরিদেবপুরে জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যুর ঘটনার পর অন্য সুর সিইএসসির। সিইএসসি দাবি জানিয়েছে, 'ওই বাতিস্তম্ভ তাদের নয়।' পাশাপাশি 'বিএসএনএলের পোস্ট ব্যবহার করে বিদ্যুত্‍ সরবরাহ হত। দিনকয়েক আগে ওই বাতিস্তম্ভের গোড়ায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছিল', বলে দাবি কাউন্সিলরের