বেহালা: ৪ বছর পরে শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেহালার বেসরকারি স্কুলের অশিক্ষক কর্মীকে বেকসুর খালাস। ২০১৭-র সেপ্টেম্বরে ৩ বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হয় বেহালার বেসরকারি স্কুলের কর্মচারী। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসের নির্দেশ আলিপুরের পকসো আদালতের।


২০১৭ সালে স্কুলে খুদে পড়ুয়ার ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় ওঠে বেহালার ওই বেসরকারি স্কুল। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার সাড়ে তিন বছরের এক শিশুকন্যা। ছবি দেখে ২ অভিযুক্তকে চেনালেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, দাবি করেন শিশুর মা-বাবার। পরিবারের দাবি, গত জুন মাস থেকে তাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়ের আচরণে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে শুরু করে। তাকে ঘনঘন নিম্নাঙ্গে হাত দিতে দেখে সন্দেহ হয় মায়ের। জিজ্ঞাসা করায় শিশুটি জানায়, স্কুলের এক 'কাকু'র কথা। এর পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


 সেখানে চিকিৎসকরা যৌন নির্যাতনের প্রমাণ পান বলে দাবি করেন অভিভাবকরা। ১৫ সেপ্টেম্বর বেহালা থানায় এফআইআর দায়ের করে পরিবার। পকসো আইনের ধারায় রুজু হয় মামলা। এ দিকে, স্কুলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে আমরা এক শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাই। অভিভাবকরাও স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে নির্দিষ্ট কারও নাম ছিল না। গোটা বিষয়টি স্কুলের তরফে বিশদে তদন্ত করা হয়েছে। 


বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে দিন শিশুকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ, সেদিনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে ওই বাচ্চার গতিবিধিও আমরা খতিয়ে দেখেছি। অভিভাবকদেরও সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হয়েছিল। এই ফুটেজ খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্কুলের একাধিক শিক্ষক ও কর্মীর সঙ্গে পুলিশ কথা বলেছে। স্কুলের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এবং পুলিশি তদন্তে শিশুকে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। 


উল্লেখ্য, এরপরই বেহালা থানায় ওই শিশুর পরিবারের তরফে এক এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে চার্জ শিট, এবং চার্জ গঠনের পর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া।