কলকাতা: বকেয়া DA-র (DA Agitation) দাবিতে কর্মবিরতির আজ দ্বিতীয় দিন। রাজ্য সরকারের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনকারীরা। গতকালও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মবিরতিতে সামিল হন কর্মীদের একাংশ। এদিকে ধর্মতলায় বকেয়া DA-র দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন ২৬দিনে পড়ল।
কর্মবিরতির আজ দ্বিতীয় দিন: কলকাতা থেকে জেলা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সোমবার কর্মবিরতিতে পালন করলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আজ তার দ্বিতীয় দিন। আর এদিকে গতকাল কর্মবিরতির বিরুদ্ধে পাল্টা তৃণমূলপন্থী রাজ্য সরকারি কর্মীদের তরফে কোথাও দেখানো হল বিক্ষোভ, কোথাও আবার রাজ্য় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল। কোথাও আবার জোর করে কর্মবিরতি তুলেও দিতে দেখা গেল তৃণমূলকে।
DA নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই, দিনকয়েক আগে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তিনি লেখেন, ২০-২১ না এলে, ২২শে বাড়িতেই থাকুন। এই পরিস্থিতিতে, সোমবার কোচবিহারের দিনহাটা আদালত চত্বরে সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি তুলে দেন দিনহাটা শহর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। ছিঁড়ে দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের ফ্লেক্স।
পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর আদালত চত্বরে সরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতির পাল্টা বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলপন্থী কর্মী সংগঠন-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের তরফে করা হয় ধন্যবাদজ্ঞাপন মিছিল। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কর্মবিরতির মধ্যেই, জলপাইগুড়ির বানারহাটে তৃণমূলের শিক্ষা সেল থেকে গণ পদত্যাগ করলেন ১৮ জন শিক্ষক। বকেয়া ডিএ ও স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতেই এই সিদ্ধান্ত, বলে দাবি পদত্যাগীরা। এবিষয়ে, জেলার তৃণমূল শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক জানিয়েছেন, তিনি এখনও চিঠি পাননি।
এর পাশাপাশি, এদিন হাওড়ার ডোমজুড়ে কর্মীরা এলেও কোনও কাজ হয়নি বিডিও অফিসে। এদিন, বাঁকুড়া জেলা আদালতে খাতায়-কলমে উপস্থিত হলেও কাজ করেননি আদালত কর্মীরা। জজ কোর্টের বারান্দায় বসে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের। মেদিনীপুর জেলা আদালতে পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে জেলা জজের অফিসের উল্টো দিকে ধর্না মঞ্চ করে চলে অবস্থান। বীরভূমের সিউড়ি জেলা আদালতে বিক্ষোভ দেখান পশ্চিমবঙ্গ আদালত কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। কোচবিহার জেলা আদালতে কর্মবিরতিতে সামিল হন আদালত কর্মচারী সমিতির সদস্যরা। আদালত চত্বরে চলে বিক্ষোভ, স্লোগান।