কলকাতা: করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে বাড়তি বাস, স্টেশন কেন্দ্রীক শাটল বাস পরিষেবাসহ জনস্বার্থে একাধিক ঘোষণা প্রশাসনের। আজ থেকে শুরু হল কলকাতা বইমেলা। এদিন সন্ধেতে মেলার উদ্বোধনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানান, সাধারণ মানুষের সুবিদার্থে অতিরিক্ত বাস চালানো হবে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, 'বইমেলা শেষে বাড়ি ফিরতে এবার মেট্রো স্টেশন কেন্দ্রীক শাটল বাস পরিষেবা দেবে পরিবহণ দপ্তর। সন্ধের পর থেকেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। বাস পাওয়া যাবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এ ছাড়া বইপ্রেমীদের সুবিধার্থে অটোর ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।'
সল্টলেক চত্বরে অটোর বর্ধিত ভাড়া নিয়ে প্রায় সময়েই নাজেহাল হন যাত্রীরা। যেকোনও উৎসবের দিনে সেই ভাড়া পৌঁছে যায় চরমে। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগও করেছেন যাত্রীরা। তবে এবার কিছুটা সুরাহা মিলবে বলেই আশা করছেন তাঁরা।
[tw]
এই বছর বই মেলার থিম বাংলাদেশ (Bangladesj)। আজ, সোমবার সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক (Saltlake) প্রাঙ্গনে ৪৫তম কলকাতা বইমেলার (Kolkata Book faire) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) সেখানে দু-দেশের সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তিনি।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, আগামী বছরের মধ্যেই এটি আন্তর্জাতিক মানের মিলন মেলা প্রাঙ্গণে পরিণত হবে। বাংলাদেশের সীমান্তের ব্যবধান সরিয়ে উদ্বোধনে ফের একবার সম্প্রীতির বার্তাও দেন মমতা। উদ্বোধনের মঞ্চে ওপার বাংলার ভূয়সী প্রসংশা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করতে পারি না, দুই বাংলার সম্পর্কের সীমানা জোর করে বেঁধে দেওয়া যায় না। বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলার যোগাযোগ চির মধুর।'
এর পরেই এ পার বাংলার প্রসঙ্গে মমতার মন্তব্য, 'বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে, আমরা গর্বিত। বাংলা পথ দেখায়। সেখানে অন্যান্য মেলাও হতে পারে। সেন্ট্রাল পার্কের এই প্রাঙ্গনের নাম হোক বইমেলা প্রাঙ্গন। আগামী বছর আন্তর্জাতিক সঙ্গীত মেলার আয়োজন করা হবে।'
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ওষুধ সহ মানবিক সাহায্য পাঠাচ্ছে ভারত