ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adeno Virus) দাপট, কলকাতার শিশু হাসপাতালে চূড়ান্ত সঙ্কট। কলকাতাজুড়ে বেলাগাম সংক্রমণ, শিশু হাসপাতালে আইসিইউয়ে সঙ্কট। আইসিইউয়ে বেডের জন্য হাহাকার, উপচে পড়ছে জেনারেল বেড। সঙ্কট সামাল দিতে কোথাও কোথাও এক জেনারেল বেডে ২জন শিশুর চিকিৎসা। সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ, কলকাতা মেডিক্যালে দেড় মাসে ৩জনের মৃত্যু। আবহাওয়ার বদল থেকে ইমিউনিটির সমস্যাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।                       

  


অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট: আচমকাই শহরে বেড়েছে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপ। এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একাধিকবার বৈঠক করা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় তাঁরা বাড়তি সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আইসিইউ বেড যাতে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন গত দেড় মাসে শিশুদের মধ্যে সর্দি, কাশি, জ্বর বেড়েছে। তা থেকে হচ্ছে ফুসফুসের সংক্রমণ। এক থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি করতে হচ্ছে আইসিইউতে। শহরের বড় বড় শিশু হাসপাতালে ভর্তি আইসিইউ বেড। এই ধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোনও ওষুধ নেই। এই পরিস্থিতি এর আগে হয় ২০১৮ সালে। চিকিৎসদের মতে, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি।                                                                                            


কী বলছেন চিকিৎসরা? 


এবিষয়ে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেন, "এই মুহূর্তে আইসিইউ-তে সঙ্কট। ১৪টি বেডই ভর্তি। যারা ভর্তি হয়েছে  প্রায় প্রত্যেকেরই নিউমোনিয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আবার বেশিরভাগেরই ভাইরাল নিউমোনিয়া। অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ সালে এই ভাইরাসের দাপট দেখা গিয়েছিল। কোভিডের জন্য দুবছর শিশুরা বাড়িতেই ছিল। ফলে এই বয়সে যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার কথা তা হয়নি।'' 


আরও পড়ুন: Asha Worker Agitation: বেতন বৃদ্ধি-সহ ৬ দফা দাবি, আশা কর্মীদের ডেপুটেশন ঘিরে ধুন্ধুমার