আবির দত্ত, অরিত্রিক ভট্টাচার্য, শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা :  সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের জয়ের পর অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ  করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই তৃণমূল নেত্রীর বিশেষ এক মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের নিন্দা করেই থামেননি তিনি। বরং পাল্টা আক্রমণ করেন। তাঁর সেই আক্রমণের জেরেই আপাতত ফুটছে বঙ্গ রাজনীতি। 


শনিবার সকাল সকাল গ্রেফতার হন কংগ্রেস নেতা। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। কৌস্তভের দাবি, রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে যায়। সকালে পুলিশের আরও একটি দল পৌঁছয় কৌস্তভের বাড়িতে। গ্রেফতারের আগে ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর।


মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী


কৌস্তভের এই গ্রেফতারিতে মুখ খুলেছেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ' মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না। কৌস্তভের পাশে আছি।  তাঁর পরিবারকে রাত ৩টে থেকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। যেন কোনও উগ্রপন্থীকে গ্রেফতার করতে যাচ্ছে। পথে নেমে প্রতিবাদ করবে কংগ্রেস। ' আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। অন্যদিকে কংগ্রেসও পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছে। বড়তলা থানার বাইরে কংগ্রেস কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।


কী কী ধারায় কৌস্তভের বিরুদ্ধে অভিযোগ? 


পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪A এবং ১২০B ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। 


কী মন্তব্য করেছিলেন কৌস্তভ? 


প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার দীপক ঘোষের লেখা বই নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেন কৌস্তভ।  'দুটো whatsapp নম্বর দিয়েছি। দীপক ঘোষ মমতা কে নিয়ে যা লিখেছিলেন, তার সফট কপি চাইলেই যে কেউ পাবে। হুমকি ফোন আসছে। কোনও কিছু হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী থাকবে...'  সাগরদিঘির ফল ঘিরে এই যুদ্ধ এরপর কোনদিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।  


কী বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


সাগরদিঘির ফলপ্রকাশের পরই অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। প্রশ্ন তোলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মেয়ে ও গাড়িচালকের মৃত্য়ু নিয়ে।