কলকাতা : '২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন, মানিকতলায় কেন এখনও হল না ?' প্রশ্ন তুলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর এক মাসের মধ্যে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। 'সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর ১১ মাস কাটতে চললেও মানিকতলায় উপনির্বাচন হল না কেন? রাজ্য সরকার কি নির্বাচন কমিশনে ঠিকঠাক তথ্য পাঠাচ্ছে না ? সেজন্যই কি মানিকতলায় এখনও উপনির্বাচন হল না, এমনই প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। মুম্বইয়ে (Mumbai) মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ট্যুইটারে শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Cm Mamata Banerjee) লেখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সুন্দর সম্পর্ক ছিল। তাঁর প্রয়াণে গভীর ভাবে মর্মাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু, অনুগামীদের প্রতি গভীর সমবেদনা।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সামলেছেন রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা দফতর। উত্তর কলকাতার অপরাজিত বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। টানা ৬ বার জিতেছেন বটতলা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। ২০১১ থেকে মানিকতলা কেন্দ্রে জয়ী হন। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার পাশে ছিলেন সাধন পাণ্ডে।
অন্যদিকে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্রয়াত হন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সুব্রত সাহা (Subrata Saha)। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিধায়ক ছিলেন তিনি। বহরমপুরের বাড়িতে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। যারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় মন্ত্রী সুব্রত সাহার। বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝে সুব্রত সাহার মৃত্যু নিয়ে শোকপ্রকাশ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, 'সুব্রতদার মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। উনি একসময় কংগ্রেসের অত্যন্ত সক্রিয় এক নেতা ছিলেন। আমাদের কখনও নেতৃত্বও দিয়েছেন। তিনি তৃণমূল করলেও কখনও হিংসা-সংকীর্ণতার রাজনীতি করেননি। তাই মুর্শিদাবাদে সুব্রতদা সম্পর্কে আমরা বলতাম দৈত্যকুলে একজন প্রহ্লাদ। '
২০১১ সালে সাগরদিঘি (Sagardighi) থেকে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস (TMC MLA) বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন সুব্রত সাহা। ২০২১ বিধানসভায় জিতে টানা তৃতীয়বার বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুতে ফাঁকা পড়ে থাকা ওই আসনে ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন (By-election)। ২ মার্চ ভোটের গণনা। ২৯ ডিসেম্বর বহরমপুরে হৃদরোগে (Heart attack) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মন্ত্রী (Minister) সুব্রত সাহার।