কলকাতা : শিক্ষায় দুর্নীতি এবং বাড়তি পদ সৃষ্টি নিয়ে সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু সেই প্রস্তাব পড়তে দেননি অধ্যক্ষ। প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের।


যারপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা 'পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই' বলে সুর চড়ান। যার পাল্টা তাঁকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসকদলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ' সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর, আগে তাঁর গ্রেফতারি হোক।' আর বিজেপি-তৃণমূলের প্রবল দ্বন্দ্বের মাঝে দুই দলকেই নিশানা করেছে কংগ্রেস। 


'দিল্লিতে দোস্তি আর বঙ্গে কুস্তি'- কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ''দিদি-মোদি সুসম্পর্ক যারা ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত। দিল্লিতে দোস্তি, পশ্চিমবঙ্গে কুস্তি দেখিয়ে কী লাভ। দিদির সঙ্গে মোদির কোনও বিরোধ নেই। অতএব নিচের তলায় বিরোধ করে কোনও লাভ হবে না।'


শুভেন্দুর আক্রমণ- অতিরিক্ত শূন্যপদে অবৈধদের নিয়োগের আবেদন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। এবার, এর আঁচ এসে পড়ল বিধানসভাতেও। শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ, 'মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুরো ক্যাবিনেট অযোগ্যদের চাকরির সুপারিশ করে হাইকোর্টে পাঠিয়েছিলেন। ক্যাবিনেটের দায়বদ্ধতা বিধানসভায়। কিন্তু অধ্যক্ষ বিচারাধীন বলে বললেন পড়তে দেব না। এটা একটা স্ক্যাম। বিধানসভায় যদি বলতে না দেন। এই অযোগ্যদের সুপারিশ কে করল? পুরো ক্যাবিনেটের গ্রেফতারি চাই।'


তৃণমূলের পাল্টা - তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'ভারতবর্ষের ৩০৩জন সাংসদের মধ্যে ১১৬ জন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। তাদের নিয়ে বিজেপি দেশ চালাচ্ছে। সংসদে তারা গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে দেয়। এখানে বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে বিরোধীরা বিরোধিতা করতে পার, তারা যা খুশি করতে পারে।' শুভেন্দু অধিকারীরে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'এই বিরোধীদের বলার কিছু নেই। নাটক করে বিধানসভা থেকে সরে যেতে চান। রাজ্য দেখিয়ে দিতে চায়, অন্য রাজ্য, ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্য কতটা পিছিয়ে, মুখে চুন-কালি পড়বে, ফলে নানা রকম নাটক করে সভা ভন্ডুল করে বেরিয়ে যেতে চান। সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর, আগে তাঁর গ্রেফতারি হোক।'


আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল, আদালতে নিয়ে আসার সময় মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের