পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন জেলে তিনি। গিয়েছে মন্ত্রিত্ব। আপাতত দল থেকেও সাসপেন্ড। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে দলও। কিন্তু তিনি এখনও দলের অনুগত সৈনিক, বোঝাতে পিছপা হলেন না রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেল থেকে আদালতে নিয়ে আসার সময় পঞ্চায়েত ভোটে কে জিতবে জানতে চাইলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাফ উত্তর 'তৃণমূল, তৃণমূল'।
আলিপুর আদালতে পেশ
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য-সহ ৭ জনকে আজ ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, প্রত্যেকের জামিনের বিরোধিতা করা হবে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও আদালতকে জানাবে সিবিআই। এই অবস্থায় হয়তো ফের জেলবন্দি থাকার মেয়াদই বাড়তে চলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের সঙ্গেই রয়েছেন বুঝিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসই জিতবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
'দলের সঙ্গে আছি'
পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর তাঁর মন্ত্রিপদ কেড়েছে দল। মহাসচিবের পদ থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। দলের সব পদ থেকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু, গরু পাচার অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরও বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বহাল রেখেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকি চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরও, রাজু সাহানিকে অবধি হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরায়নি তৃণমূল।
তার পরও দলের পাশে থাকার বার্তাই বারবার দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগে প্রশ্নের উত্তরে পার্থ বলেছিলেন, ‘দলের সঙ্গে আছি। একশোবার আছি।’ সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী প্রসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, 'পার্থ দলের বিড়ম্বনা।' যে প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবকে সৌগত রায়ের মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তখনই জবাব,'দলের সঙ্গে আছি।' কিন্তুপার্থ দলের সঙ্গে থাকলেও, দল কি তাঁর সঙ্গে আছে? প্রশ্নটা উঠছে তৃণমূলেরই বিশেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তের জেরে!
আগে ED’র মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতেও জামিনের জন্য কাতর আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেন,'আমার শরীর দিচ্ছে না। সব কেস একসঙ্গে আনা হয়েছে। কিছুই পাওয়া গেল না, তাও এরকম চাপ দেওয়া হচ্ছে। ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে বাঁচতে দিন।' যদিও তাতেও সেভাবে কাজ হয়নি। জেলেই রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেলে, তারপরেও সরকারি বইয়ে নাম? প্রশ্ন বিরোধীদের