রামপুর, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: বিজেপির পর এবার অধীর চৌধুরীকেও সন্দেশখালিতে যেতে বাধা দিল পুলিশ। সরবেড়িয়া থেকে হেঁটে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই অধীরকে দেওয়া হল বাধা। আর এগনো যাবে না, জানিয়ে দিল পুলিশ । সকালে বিজেপির প্রতিনিধি দলের মতো রামপুরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আটকে দেওয়া হল। সেখান থেকেই অধীর প্রশ্ন তোলেন, 'বলতে এসেছিলাম, সন্দেশখালিতে প্রবেশ কেন নিষিদ্ধ? মহিলা পুলিশকে খাড়া করে কী বার্তা দিলেন, আমরা প্রতিবাদ করতে এসেছিলাম, কোনও পুরুষকে খুঁজে পেলাম না, এই তঞ্চকতা কেন' '
এরপরই ক্ষেপে ওঠেন কংগ্রেস কর্মীরা। অধীর চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালি কি পশ্চিমবঙ্গের ম্যাপের বাইরে ? কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় পুলিশের। বাধা পেয়ে রাস্তায় বসেই প্রতিবাদ শুরু করেন অধীর চৌধুরী। সেখান থেকেই সন্দেশখালির বাসিন্দাদের জন্য বক্তব্য রাখেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আপনি তো বলতে পারতেন সন্দেশখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লজ্জিত। আমি কড়া ব্য়বস্থা নেব। তাতে আপনার সরকার পড়ে যেত না। আপনি ভাবছেন আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়ে দিলেন সবাই আপনার গোলাম হয়ে গেল, আপনি ভুল ভাবছেন, ১০০০-১২০০ র বিনিময়ে সেই ইজ্জত খরিদ করতে যাবেন না। আমরা সারা বাংলাজুড়ে প্রচার করব।' অধীর চৌধুরীর তীব্র কটাক্ষ, 'পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ কিছু করতে পারে না আমি বিশ্বাস করিনা। সেই জন্যই শাহজাহান জানে পিছনে নুরজাহান আছে। উত্তম সর্দার জানে পিছনে সর্দারনি আছে। '
এর আগে সকালে সন্দেশখালির পথে সেই রামপুরেই নাড্ডার পাঠানো টিমকে আটকেছিল পুলিশ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদলের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়ে গড়া বিজেপির টিমের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি বেঁধে যায় পুলিশের। বাঁশের ব্যারিকেডেই আটকানো হয় বিজেপির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে। ১৪৪ ধারা দেখিয়ে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে যেতে বারণ করা হয়। ৪ জন মহিলা প্রতিনিধি যেতে চাইলেও 'না'-তে অনড় থাকে পুলিশ। পরে ৪ জন থেকে কমিয়ে ২ জন যেতে চাইলেও, বিজেপির প্রতিনিধিদলকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। নালিশ জানাতে রাজভবনে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।
আরও পড়ুন :
'আমরা কি ক্রিমিনাল?' বাঁশের ব্যারিকেডে আটকাতেই বিজেপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ধুন্ধুমার পুলিশের
( বিস্তারিত আসছে ... )