কলকাতা: ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে মানিক ভট্টাচাৰ্যকে আজ ফের আদালতে পেশ করবে ইডি। এর আগে আদালতে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্যর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যা পরবর্তীতে আরও বাড়তে পারে। এছাড়া, ২০১৪-র টেট পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৩২৫ জন প্রার্থীর কাছ থেকে মানিক ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা নেন। ছেলে সৌভিক ভট্টাচাৰ্যর সংস্থাকে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ পিছু ৫০ হাজার টাকার চেক পাইয়ে দিয়েছিলেন মানিক। আদালতে দাবি করেন ইডি-র আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতে ফের মানিককে জেলে রেখে জেরা করার প্রয়োজন আছে বলে। আজ আদালতে জানাবে ইডি। খবর সূত্রের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারির ৫৮ দিনের মাথায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। খবর সূত্রের। গত ১০ অক্টোবর ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন মানিক। ইডি সূত্রে খবর, দেড়শো পাতার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মানিককেই দুর্নীতির কিংপিন বলে উল্লেখ। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক কীভাবে জড়িত ছিলেন, কীভাবে অনলাইন ক্লাস ও অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের নামে বেসরকারি ডিএলএড কলেজ থেকে কোটি কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে এবং মানিক ভট্টাচার্যর ছেলে সৌভিকের সংস্থা কীভাবে লাভবান হয়েছে তার উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। ইডি-র সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে মানিকের স্ত্রীরও নাম রয়েছে বলে খবর সূত্রের।
বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়ার পরিবর্তে নেওয়া হত কলেজ প্রতি ১০ তেকে ১২ লক্ষ টাকা। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয় ইডি সূত্রে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে আরও দাবি, তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ছাড়পত্রের জন্য সুপারিশ আসত মানিক ভট্টাচার্যের তরফ থেকে। এই চক্রে খোঁজ মিলেছে এক মানিক-ঘনিষ্ঠেরও। D-El-Ed কলেজে টাকার বিনিময়ে অফলাইনে ভর্তির পর, এবার বেসরকারি আইন ও ফার্মাসি কলেজের অনুমোদনেও সামনে উঠে এল পার্থ-মানিক যোগ!
এ ক্ষেত্রেও কি লুকিয়ে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন? বুধবার নগর দায়রা আদালতে ED’র তরফে দাবি করা হয়, বিপুল টাকার বিনিময়ে একাধিক বেসরকারি আইন কলেজ এবং ফার্মাসি কলেজকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ বা NOC দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে ED সূত্রে দাবি, বেসরকারি আইন ও ফার্মা কলেজের অনুমোদন বা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ইস্যু করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।