হিন্দোল দে, কলকাতা : বারুইপুরের ( Baruipur ) নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ( Gram panchayrt ) গৌড়দহে শ্যুটআউট। কাকা-সহ ২ জনকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইপোর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনার পরই অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
পুলিশ সূত্রে খবর, কাকা সাজ্জাদ মণ্ডলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ভাইপো আব্দুল মজিদ মণ্ডল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কাকার। কাকাকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সইফুদ্দিন লস্কর নামে আরেক ব্যক্তি। কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন :
শুনানি পিছোল আদালতে, এখনই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি
ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোল উদ্ধার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। হামলার কারণ ঘিরে এখনও ধোঁয়াশা।
বীরভূমের মহম্মদবাজারে শ্যুটআউট
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার বীরভূমের মহম্মদবাজারে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানের এক কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয় । গুলিতে আহত হন এক প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকও।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত ৮টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। পাথর খাদানের শ্রমিক ধানু শেখ এবং ওই শিক্ষক ধনা হাঁসদা একই জায়গায় বসে ছিলেন। সেই সময় একজন সাইকেলে এসে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খাদান শ্রমিকের।
প্রাথমিক শিক্ষককে সিউড়ির সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পিছনে পাথর খাদান নিয়ে গোলমাল, নাকি পারিবারিক বিবাদ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নেতার বাড়িতে গুলিবৃষ্টি !
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভাঙড়ে গোষ্ঠীবিবাদের জেরে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। বাড়ির দরজায়, ঘরের দেওয়ালে গুলির চিহ্ন মিলেছে। ঘটনাস্থলে মিলেছে একটি তাজা বোমাও। ভাঙড়ের প্রাণগঞ্জ অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ফজলে করিমের অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে বড়ালি গ্রামে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রায় ১২ রাউন্ড গুলি চলে। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তৃণমূল নেতা।
তৃণমূল নেতার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে ভাঙড় ১-এর A ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদের অডিও ক্লিপ ভাইরাল করায়, তাঁকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিচার চেয়েছেন তৃণমূল নেতা। গটআপ গেম, পুলিশ ও দল তদন্ত করুক, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ভাঙড়ের তৃণমূল ব্লক সভাপতি কাইজার আহমেদের।