জয়ন্ত পাল, কলকাতা: বিরল অস্ত্রোপচারে (rare operation) অসাধ্যসাধন করল দক্ষিণ দমদম (South Dumdum) পুরসভা হাসপাতাল। জন্মের ৪০ দিন পর চোখ খুলল বিরল রোগে আক্রান্ত নদিয়ার (Nadia) নন্দনপুরের শিশু। খুশি শিশুর পরিবার থেকে চিকিৎসকরা।


জন্মের ৪০ দিন পর পৃথিবীর আলো


জন্মের পরেও পৃথিবীটা তার কাছে ছিল অন্ধকার। ৪০ দিন পর পৃথিবীর আলো দেখল নদিয়ার নন্দনপুরের একরত্তি। বিরল অস্ত্রোপচারে অসাধ্যসাধন করল দক্ষিণ দমদম পুরসভা হাসপাতাল। পরিবারের দাবি, মাসখানেক আগে তেহট্টের হাসপাতালে শিশুর জন্ম হয়। কিন্তু, জন্মের পর থেকে চোখ খোলেনি একরত্তি। এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতাল ঘুরে দক্ষিণ দমদম পুরসভা হাসপাতালে শিশুকে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, বিরল অ্যাঙ্কেলোব্লেফারন (Ankyloblepharon) রোগে আক্রান্ত শিশুটি। এরপরই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সফল হয় অস্ত্রোপচার। 


দক্ষিণ দমদম পুরসভা হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশিস মণ্ডলের কথায়, 'পরিবারটি তেহট্ট থেকে এসেছে। সাড়ে ৩টের সময় অপারেশন হয়। সচরাচর এই রোগ দেখা যায় না। আধঘণ্টা ধরে অপারেশনের পর তা সাকসেসফুল। চোখে এখন নিয়মিত ড্রপ দিতে হবে।'


উৎকণ্ঠার অবসানে, হাসি ফুটেছে মা-বাবার মুখে। শিশুর মায়ের কথায়, 'খুশি, অত্যন্ত আনন্দিত। ছোট্ট কন্যা সন্তান পৃথিবীর নতুন করে দেখতে পারবে।'


আরও পড়ুন: Alipurduar News: এলোপাথাড়ি ছোটাছুটি করতে করতেই মৃত্যু, অন্তঃসন্ত্বা হস্তিনীর পরিণতিতে ধোঁয়াশা আলিপুরদুয়ারে


জন্মের পর এতগুলো দিন ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছোটাছুটি। শেষমেশ মেয়ে দেখতে পাবে, স্বপ্নপূরণের মতো লাগছে, বলছে পরিবার। 


দিন কয়েক আগে এনআরএস হাসপাতালে (NRS Medical College And Hospital) বিরল অস্ত্রোপচার (Surgery) হয়। জুড়ে থাকা লিভারের অংশ কেটে পৃথক করা হয় যমজ শিশুকে। তিন ঘণ্টা ধরে চলে জটিল অপারেশন। চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, দুজনেই সুস্থ রয়েছে।


দুটো আলাদা প্রাণ। একসঙ্গে বেড়ে উঠছিল মায়ের জঠরে কিন্তু, যমজ শিশুর জন্মের পর দেখা যায়, তাদের শরীর একে অপরের সঙ্গে জোড়া। দুই শিশুর জন্মের ১৮ দিনের মাথায়, NRS হাসপাতালে হল জটিল অস্ত্রোপচার। লিভারের অংশ কেটে, পৃথক করা হল দুই শিশুপুত্রকে।


বিচ্ছেদে নতুন জীবন পেল দুই প্রাণ! উত্‍কণ্ঠার প্রহর পেরিয়ে, হাসি ফুটল দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা, দম্পতির। চিকিত্‍সকরা বলছেন, চিকিত্‍সার ভাষায় একে বলে কনজয়েন্ট টুইন। ভ্রূণ দু’টি ভাগ হওয়ার সময়, যদি পৃথকীকরণ ঠিক মতো না হয়, তাহলে এমন কনজয়েন্ট টুইন (Conjoined twins) বা জোড়া যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।