হাওড়া: গঙ্গার ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে নিখোঁজ মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের (Maharaja Manindra Chandra College) ছাত্র। ৯ দিন পর উলুবেড়িয়ার  (Uluberia) গঙ্গার ঘাট থেকে উদ্ধার ছাত্রের দেহ। ৬ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন টালার (Tala) বাসিন্দা শেখ সৈয়দ। শেখ সৈয়দ শ্যামবাজারের মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। নর্থ পোর্ট থানায় (North Port Police Station) অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। বন্ধুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। চক্রান্তের অভিযোগ তুলে পুলিশি তদন্তের দাবি পরিবারের। 


উদ্ধার ছাত্রের মৃতদেহ: সেলফি তোলার শখ ছিল ভীষণ। আর সেটাই কি কাল হয়ে দাঁড়াল?বাগবাজার লকগেট এলাকায় গঙ্গায় তলিয়ে গেলেন কলেজ পড়ুয়া। ঘটনার ৯ দিন পর আজ রবিবার উদ্ধার হল তাঁর দেহ। পুলিশ সূত্রের খবর, সেলফি তুলতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন ওই ছাত্র। যদিও বন্ধুদের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছে ছাত্রের পরিবার। 

৬ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া শেখ সৈয়দ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই দিন কলেজ থেকে ফেরার পরে, সৈয়দ, বন্ধুদের সঙ্গে বাগবাজার লকগেট এলাকায় যান।সেখানেই ঘটে যায় বড় বিপত্তি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, সাঁতার জানতেন না সৈয়দ। প্রশ্ন উঠছে, বিপদ হতে পারে জেনেও, কেন এমন জায়গায় যাবেন তিনি? শুক্রবার দুপুরে কী ঘটেছিল বাগবাজার লকগেট এলাকায়? স্রেফ দুর্ঘটনা? না অন্য কোনও রহস্য? এই প্রসঙ্গেই বন্ধুদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে মৃত সৈয়দের পরিবার।


মৃত্যু ঘিরে রহস্য: এদিকে আসানসোলে পরিত্যক্ত পাথর খাদানে, মৃত্যু ঘিরে রহস্য। রবিবার আসানসোলের কাল্লা এলাকায়, এই পরিত্যক্ত খাদানে প্রায় ৩০০ ফুট নিচে জলাশয়ে চারজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একজন পুরুষ ও মহিলা ছাড়াও দুটি শিশুর মৃতদেহ জলে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ আসে। কিন্তু খাদান অনেক গভীর থাকায় এদিন মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি।


দুই শিশু ও দু-জন পুরুষ ও মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে প্রশ্ন উঠছে, তাঁরা কি একই পরিবারের সদস্য? তাঁরা কি আত্মঘাতী হয়েছেন?না কি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে? আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও পড়ুন: Nadia: তাহেরপুরের পর এবার তেহট্ট, সমবায় সমিতির নির্বাচন জয় সিপিএমের