প্রদ্যোৎ সরকার, তেহট্ট: তাহেরপুর পুরসভা (Taherpur Municipality)  ভোটে জয়ের পর এবার তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনেও বিশাল জয় পেল সিপিএম (CPIM)। ৪৯ আসনের সমবায় সমিতির সবকটি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল তারা। একটি আসনও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল।


বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বামেদের: গতবছর রাজ্যের শতাধিক পুরসভার নির্বাচনে একমাত্র নদিয়ার তাহেরপুরে জয় পেয়েছিল বামেরা। এবার তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনে জিতল সিপিএম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪৯ আসনের সমবায় সমিতির দখল নিল তারা। কোনও আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না তৃণমূল। ১৯২৬ সালে তেহট্ট এক নম্বর ব্লকে, চাঁদেরঘাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেড তৈরি হয়।

১৯৭৭-এর পর থেকে এই সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটিতে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর চাঁদেরঘাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ঘোষণা হয়। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২৫ ডিসেম্বর। রবিবার ছিল ভোটগ্রহণ। ৪৯ আসনবিশিষ্ট এই সমবায় সমিতিতে সিপিএম সব আসনে প্রার্থী দিলেও, একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল বা অন্য কোনও দল। ফলে এদিন সবকটি আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন সিপিএমের প্রার্থীরা। এদিনই তাঁদের হাতে জয়ের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। তবে জয়ের পর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে সিপিএম।

চাঁদেরঘাট সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি জয়ী প্রার্থী শান্তনু মণ্ডল বলেন, “এখানে ভোট না করতে দেওয়ার জন্য তৃণমূল অনেক চেষ্টা করেছিল। কিছু লোককে ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে প্রার্থী করারও চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কেউ রাজি হয়নি। এখানে পঞ্চায়েতের যে অত্যাচার এরা করেছে, তাই কেউ আসেনি। বামপন্থীদের ওপর মানুষ ভরসা করেছে।’’ তৃণমূলের নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। সামান্য সমবায় নির্বাচনে কে প্রার্থী হল, কে জয়ী হল, সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঠিক হয়ে যাবে মানুষ কার পাশে আছে। যাদের একটাও সিট বিধানসভায় নেই, তারা যদি এটা নিয়ে আনন্দে থাকে, তাহলে থাকুক।’’

গত নভেম্বরে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়, বাম ও বিজেপি সমর্থিত ঐক্যমঞ্চ। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে রাম-বাম জোট ও নন্দকুমার মডেল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এবার তেহট্টে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হল সিপিএম।


আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আন্দোলনমঞ্চে প্রবেশ নিষেধ, সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের