গৌতম পাল ও মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়: একদিকে হাতি, অন্যদিকে কুমিরের তাণ্ডব। অবশেষে ২ জেলায় ফিরল স্বস্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমায় লোকালয়ে ঢুকে পড়া কুমিরকে জালবন্দি করলেন বন দফতরের কর্মীরা। পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানে (East Burdwan) দলছুট হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করে বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গলে পাঠাল বন দফতর।
দুই জেলায় ফিরল স্বস্তি: একদিকে, বিশালাকার কুমিরের তাণ্ডব।অন্যদিকে, দলছুট হাতির দাপাদাপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে পূর্ব বর্ধমান। করলেন বন দফতরের কর্মীরা। তখন, পূর্ব বর্ধমানে দলছুট হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করে বাঁকুডা়র সোনামুখীর জঙ্গলে পাঠাল বন দফতর। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে, শ্রীধরনগরের কৃষ্ণদলুইয়ের ঘাট সংলগ্ন এলাকায় কুমিরটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, একটি ছাগলকে গিলে খায় কুমিরটি। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। এরপর, পেতে কুমির ধরার চেষ্টা শুরু করেন কর্মীরা। রাত ১২টা ৫০ নাগাদ, ধরা পড়ে কুমিরটি। আপাতত ধনচি বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, স্বাস্থ্য় পরীক্ষার পর, নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে কুমিরটিকে।
পাশাপাশি, পূর্ব বর্ধমানে দলছুট হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করে জঙ্গলে পাঠাল বন দফতর। বনদফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে, বাঁকুড়ার সোনামুখীর দিক থেকে দামোদর পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদে চলে আসে একটি দলছুট হাতি। চাষের জমিতে ঢুকে তছনছ করে ফসল। এরপরই হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে ক্রেনে করে তুলে সোনামুখীর জঙ্গলে পাঠানো হয়। বেশ কয়েকদিনের আতঙ্ক কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তি ফিরল রাজ্য়ের ২ জেলায়।
এদিকে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসাই হল না জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে, হাতির হানায় মৃত্যু হল ছাত্রের। রাজগঞ্জের পাঁচিরাম নাহাটা স্কুলের ছাত্র অর্জুন দাসের সিট পড়েছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া হাইস্কুলে। সময় বাঁচাতে ফরেস্ট রোড ধরে মোটরবাইকে যাচ্ছিল বাবা ও ছেলে। কুয়াশার কারণে হাতির সামনে পড়ে যায় তারা। বাবা প্রাণে বাঁচলেও ছেলেকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছড়ে মারে দাঁতাল। জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: West Midnapore:'পার্থ ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব কোলেকে ইডি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে,' পোস্টার ক্ষীরপাইয়ে