সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষের গ্রেফতারির দাবিতে পোস্টার পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) ক্ষীরপাই পুর এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, পরিবারের একাধিক সদস্যের চাকরি ও এলাকায় অনেকের চাকরি বদলির ক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে তাঁর। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সঞ্জীব কোলে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পোস্টার পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে: পোস্টারে জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষের ছবি। নিচে লেখা, শিক্ষিত বেকার ছেলেদের ভবিষ্যৎ বিক্রি করে গ্রেফতার হওয়া পার্থ ঘনিষ্ঠ সঞ্জীব কোলেকে অবিলম্বে ইডি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করার দাবি জানাই। পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই পুর এলাকায় এই পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে গেছে। নিয়োগ-দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে বর্তমানে তোলপাড় রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে, ক্ষীরপাইয়ের এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পোস্টারে আরও লেখা হয়েছে, সঞ্জীব কোলে-সহ ওঁর পরিবারের যে ৬ জনের চাকরি হয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। তবে কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছুই জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ এই সঞ্জীব কোলে চন্দ্রকোণার খিরা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর আগে আচমকা সঞ্জীব, তাঁর দাদা ও পরিবারের এক সদস্য চাকরি পান। পরে, আরও ৩ জনের চাকরি হয়। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় কয়েক জনের চাকরি বদলির ক্ষেত্রেও ভূমিকা ছিল সঞ্জীবের। ক্ষীরপাইয়ের বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ বলেন, “বেআইনি কাজ করে, কোটি কোটি টাকা উপার্জন, প্রশাসনকে জানিয়েছি। সাজা হোক।ছাতা কারখানায় কাজ করত, এত টাকা কী করে হয়।’’ এবিষয়ে, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ অভিযুক্ত সঞ্জীব কোলের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি বলেন, “চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে, ইতিমধ্যেই তাঁদের এই চাকরির বিষয়টিও তদন্তের মধ্যে রয়েছে, তবে তারা যে চাকরি পেয়েছে সঠিক নিয়মে। কেউ ষড়যন্ত্র করছে।’’
পোস্টার বিতর্কে তৃণমূলকে নিশানা করতে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি বিজেপি। তবে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে চক্রান্তের অভিযোগেই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্য়জুড়ে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে দিকে দিকে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হিসেবে, প্রতিদিন উঠে আসছে নতুন নতুন নাম। এই পরিস্থিতিতে, পশ্চিম মেদিনীপুরে পোস্টার ঘিরে শুরু হল নতুন বিতর্ক।