রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: মৃত শাবক হাতিটিকে (Elephant) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে ৭২ ঘণ্টা পরে তার খোঁজ পাওয়া গেল। সেই মৃত শাবককে উদ্ধারের পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গরুমারা উদ্যানে (Garumara)। সেখানেই ময়নাতদন্তের (Post Mortem) পর শাবকটির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না শাবকটিকে?
শাবকের মৃত্যুর পরও তাকে শুঁড়ে জড়িয়ে চাবাগানে ঘুরছে মা হাতি। মৃত্যুর পরও একমুহূর্ত বাচ্চাকে কোল ছাড়া করছে না মা। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) চা বাগানে মর্মান্তিক দৃশ্য ধরা পড়েছিল এবিপি আনন্দের ক্যামেরায়। মা হাতিতটি হয়ত ভাবছিল যে কোনও না কোনওভাবে ঠিক জেগে উঠবে শাবকটি। গত শুক্রবার সকাল থেকে রোদ, বৃষ্টির মধ্যেই মৃত শাবককে আকড়ে ধরে ছিল মা হাতি, সেইসাথে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল প্রায় ৩০-৩৫ টি হাতির দল। অবশেষে প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর মৃত শাবক হাতিকে ছেড়ে গেল মা হাতি। এদিন দুপুরে মৃত শাবককে ছেড়ে কিছুটা দূরে সরে যায় মা হাতি। সেই সময় সুযোগ বুঝে বনকর্মীরা মৃত শাবককে উদ্ধার করার জন্য আসরে নামে। চারদিনের মাথায় শাবকটিকে উদ্ধারের পর দেখা যায় শাবকটির পচন ধরতে শুরু করেছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান মৃত শাবককটি স্ত্রী শাবক ছিল। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে সেই মা হাতিটি সহ আরও কয়েকটি হাতির পাল সামনেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের দিকে নজর রেখেছেন বনকর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে একপাল হাতির মধ্য়ে হাতিটি শুঁড়ে করে শাবকটিকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিন্নাগুড়ি বনবিভাগের কর্মীরা। কিন্তু কোনওভাবেই মা হাতিটির দেখে সেই শাবকটিকে আলাদা করা যাচ্ছে না। বাচ্চা যে আর নেই, তা বোধহয় বিশ্বাসই করতে পারছিল না হাতিটি। কখন শাবকটিকে রেখে জঙ্গলে ফিরবে মা, সেই অপেক্ষায় ছিলেন সবাই। অবেশেষে মৃত শাবকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুকুরের মুখে আহতের কাটা হাত, চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে