অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: লালবাজার (Lalbazar) থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই ফের আন্দোলনে উচ্চ প্রাথমিকের (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীরা (Job Seekers)। পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। কামড়ের পরে এবার সাদা পোশাকের পুলিশের বিরুদ্ধে আঁচড়ে দেওয়ার অভিযোগ। চোখে জল নিয়েই ফের রাজপথে আন্দোলন।
আন্দোলনে ফের পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ
কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল বেরিয়ে তা প্রবেশ করে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। সেখানেই তাঁদের বিক্ষোভ ধরণা চালাচ্ছেন। তাঁদের দীর্ঘদিনের যে দাবি, নিয়োগপত্র অবিলম্বে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হোক, সেই দাবিতে তাঁরা অনড়।
উচ্চপ্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার কালীঘাটে। বুধবার সকালে চাকরিপ্রার্থীরা আচমকা এসে কালীঘাটে মেট্রো স্টেশনের কাছে বসে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে পুলিশ। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। টেনে হিঁচড়ে পুলিশ কর্মীরা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরাতে চেষ্টা করেন। সেই সময় আন্দোলনকারীরা রাস্তায় কার্যত শুয়ে পড়েন। জোর করে পুলিশ কর্মীরা কয়েকজন আন্দোলনকারীকে প্রিজন ভ্যানে তোলেন। তবে শুধু প্রিজন ভ্যান নয়, বেসরকারি বাস, এমনকী ট্যাক্সিতেও বিক্ষোভকারীদের তুলতে দেখা যায় পুলিশকে।
চাকরির দাবিতে এবার বিক্ষোভ পৌঁছে গেল কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায়। ফের রাজপথ থেকে আন্দোলনকারীদের চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। দ্রুত এবং সর্বশেষ শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে বুধবার রাস্তায় নামেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা। কালীঘাট মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ। কিন্তু মেট্রো স্টেশনের ২ নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে দৌঁড়তে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে চলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয় ধরপাকড়! আপার প্রাইমারির আন্দোলনকারীদের অন্য একটি দল হঠাত্ই এদিন হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছাকাছি বলরাম বসু ঘাটের সামনে পৌঁছে যায়। তড়িঘড়ি সেখানে পৌছে তাঁদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। আটক হওয়ার পর সেখান থেকে ছাড়া পেতে ফের তাঁরা রাজপথেই শুরু করে আন্দোলন।
২০১৪ সালে আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বেরনোর পর পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। তারপর প্রায় ৮ বছর কেটে গেলেও, এখনও নিয়োগ হয়নি।
আরও পড়ুন: Madan Mitra: "এজেন্ট বসবে না, ফাঁকা মাঠে গোল হবে, বিরোধীরা কোথায়?' বিস্ফোরক মদন