নদিয়া: ফের বিস্ফোরণ, নদিয়ায় উড়ল তৃণমূল কর্মীর বাড়ি! দুবরাজপুর, ভাঙড়ের পর চাপড়া, তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ। বাড়িতে মজুত বোমা থেকেই বিস্ফোরণ, অভিযোগ গ্রামবাসীদের।


চাপড়ায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণ


চাপড়ার হাতিশালায় ঘরে মজুদ বোমা ফেটে ভেঙে পড়ল দেওয়াল। তৃণমূল কর্মী সাইফুল সেখের বাড়িতে বোমা মজুদ ছিল বলে অভিযোগ।


এখনও পর্যন্ত এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয়ভাবে যিনি তৃণমূলকর্মী হিসেবে পরিচিত সাইফুল সেখ, তার বাড়িতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। এর ফলে তার বাড়ির একাংশ পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, গাঁথনি দেওয়াল সমস্তটাই ধসে পড়েছে একপ্রকার। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বাড়ির একাংশ। বড় রকমের বিস্ফোরণের আওয়াজ হয়েছে, এবং স্থানীয়দের মতে সন্ধ্যারাতের দিকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে। 


স্থানীয়দের দাবি, বাড়িতে বোমা মজুত ছিল, সেখান থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু আদৌ বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। খবর পেয়েছে পুলিশ, এবং তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছে। এই ধ্বংসাবশেষ থেকে কী পাওয়া যায়, এবং বিস্ফোরণের সূত্র কী সেটাই দেখার বিষয়।


প্রসঙ্গত, এর আগে ২২ মে, দুবরাজপুরে (Dubrajpur Incident) বাড়িতে মজুত বোমা থেকে বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলকর্মীর বাড়িতে মজুত বোমায় বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে সেক্ষেত্রেও। প্রবল বিস্ফোরণে উড়ে যায় তৃণমূলকর্মীর বাড়ির একাংশ। 


প্রথমে এগরা, তারপর বজবজ, আর তারপর দুবরাজপুর। সাত দিনে রাজ্যের তিন জায়গায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাড়িতে মজুত বোমা থেকেই এদিন বিস্ফোরণ হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলকর্মীর বাড়িতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীর বাড়ির একাংশ। জানা গিয়েছে, সিঁড়ির নীচে রাখা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়। এবার বিস্ফোরণ হল নদিয়ার চাপড়ায়।


আরও পড়ুন: Appetite: খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার


তার আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রাম। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পুকুরের পাশেই একটি বাড়িতে ছিল ২ টি ঘর। সেখানেই ছিল বেআইনি বাজি কারখানা। এই বাড়ির একটি ঘরেই বিস্ফোরণ হয়। দেহ ছিটকে গিয়ে পড়ে পুকুরে। ২ টি পুকুরেই দেহের খোঁজে চলে তল্লাশি। বিস্ফোরণে উড়ে যায় গোটা বাড়ি। কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় গোটা এলাকা। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়, শুধু কাঠামোটুকু ছাড়া সেই বাড়িতে অবশিষ্ট নেই আর কিছুই।  খাদিকুল গ্রামে যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, সেখান থেকে এগরা থানার দূরত্ব কমবেশি ২২কিলোমিটার। এগরা দমকল কেন্দ্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। ঘটনাস্থল থেকে গোপীনাথপুরে মূল রাস্তার দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার।