গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে হেরে যাওয়ার পর, বিজেপি প্রার্থীর বাড়ির নিকাশি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 



পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর- শ্রীনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অন্নপূর্ণা হালদারের অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষণার পর, মাসতিনেক আগে তাঁর বাড়ির নিকাশি পথ বন্ধ করে দেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী গোপাল হালদার। 


এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় গত একমাস ধরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি জলমগ্ন। পঞ্চায়েতের কাছে সুরাহা চেয়েও মেলেনি বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর দাবি, আদালতের রায় তাঁর পক্ষে যাওয়ায় তিনি মাটি ফেলে জমি ভরাট করেছেন। বিজেপি এর পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুললেও, তা উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।                                


রাজ্যের অন্যান্য ঘটনা


অতি বৃষ্টিতে জল জমেছে এলাকায়, হয়নি খাল সংস্কার। প্রতিবাদে প্রায় ২ ঘণ্টা হলদিয়া-মেচেদা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে রামতারকের কাছে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের দাবি, সোয়াদিঘি খাল, গঙ্গাদিঘি খাল-সহ বিভিন্ন খালের সংস্কার না হওয়ায় জমা জলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এদিন পূর্ব মেদিনীপুর বন্যা-ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিডিও-র আশ্বাসে ঘণ্টা দুয়েক পর অবরোধ ওঠে।                                                                                                                                                     


কংসাবতী নদীর সলুইস গেটের পর ভাঙল মেদিনীপুর ক্য়ানালের পাড়ের একাংশ। হু হু করে ঢুকছে জল। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বৃন্দাবনপুর, রানিয়াড়া সহ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আতঙ্কে গ্রামের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তমলুকের এসডিও, পাঁশকুড়ার বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।