অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেই পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore) জেলা বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শিবু পানিগ্রাহী (Shibu Panigrahi)। দল ছাড়ারও হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader)। এনআরসি, (NRC) সিএএ-র (CAA) পর কৃষি আইন প্রত্যাহার, শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত ক্রমশ নীচুতলার কর্মীদের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠছে। তৃণমূলের (TMC) কটাক্ষ, বাংলার বিজেপি কর্মীদের এই হতাশাই আগামী দিনে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিলেন এই হতাশ নেতারা। 



 


দীর্ঘ এক বছরের আন্দোলন। দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। আন্দোলরতন কৃষকদের মৃত্যু। দিল্লি চলো। রেল রোকো। ভারত বনধ। শীত-গ্রীষ্ণ-বর্ষা সহ্য করে চলতে থাকা স্বাধীনোত্তর ভারতের দীর্ঘতম কৃষক আন্দোলনের চাপে শেষপর্যন্ত পিছু হটল মোদি সরকার (Modi Government)।  ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। গতকাল কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী কৃষকদের খেতে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। আর এই ঘোষণা সামনে আসার পরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তই এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা বিজেপিতে ভাঙন-জল্পনা উস্কে দিল। সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শিবু পানিগ্রাহী।


এদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। বিজেপি সাংসদের (BJP MP) ট্যুইট, “কৃষি আইন নিয়ে মোদির ইউ-টার্ন: ভারতের আর্থিক সংস্কারে ধাক্কা। মোদির উচিত ছিল, আমার পরামর্শ মেনে কৃষি আইনের প্রয়োজন মতো প্রয়োগ। আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে এখন তিনি জাতীয় স্তরে পরাজিতদের রোষের শিকার।’’


আরও পড়ুন: Farmer Protest: কী হবে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা? সিঙ্ঘু সীমানায় বৈঠকে বসছেন কৃষকরা