নয়াদিল্লি: শুধু ঘোষণা নয়, সরকারকে (Government) আলোচনায় বসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহারের ঘোষণার পরেও অনড় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (Samyukta Kishan Morcha)। আজ সিঙ্ঘু সীমানায় (Singhu Border) বৈঠকে বসছে সংগঠনের ৯ সদস্যের কমিটি। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতেই এই বৈঠক। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait) স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগে সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে, সেই অনুযায়ী স্থির হবে পরবর্তী পরিকল্পনা। পাশাপাশি, ফসলের নূন্যতম সহায়ক মূল্যের (Minimum Support Price) নিশ্চয়তা নিয়েও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক নেতা (Farmer Leader)।
দীর্ঘ এক বছরের আন্দোলন। দাঁতে দাঁত চাপা লড়াই। আন্দোলরতন কৃষকদের মৃত্যু। দিল্লি চলো। রেল রোকো। ভারত বনধ। শীত-গ্রীষ্ণ-বর্ষা সহ্য করে চলতে থাকা স্বাধীনোত্তর ভারতের দীর্ঘতম কৃষক আন্দোলনের চাপে শেষপর্যন্ত পিছু হটল মোদি সরকার। কিন্তু এখনও অনমনয়ী মনোভাব কৃষকদের। গতকালই কৃষক নেতারা জানিয়েছিলেন শুধুমাত্র মুখের কথাতেই নয়। আইন প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষক আন্দোলনের চাপের মুখে পিছু হঠেছে মোদি সরকার। গতকাল, ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করার ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কৃষকদের ফের মাঠে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, আগে কৃষি আইন প্রত্য়াহের শিলমোহর পড়ুক সংসদে।
গতকাল কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারী কৃষকদের খেতে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। যা নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ৫ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দিকেই তাকিয়ে কৃষি আইন প্রত্যাহার করল কেন্দ্র। এদিকে কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। বিজেপি সাংসদের ট্যুইট, “কৃষি আইন নিয়ে মোদির ইউ-টার্ন: ভারতের আর্থিক সংস্কারে ধাক্কা। মোদির উচিত ছিল, আমার পরামর্শ মেনে কৃষি আইনের প্রয়োজন মতো প্রয়োগ। আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে এখন তিনি জাতীয় স্তরে পরাজিতদের রোষের শিকার।’’