সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: সিঙ্গেল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও অস্বস্তি বহাল নবম ও দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের (SSC Case)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নয়, জানিয়ে দল ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত পাঠানো হল সিঙ্গল বেঞ্চে। ১৩ জন শিক্ষককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ (Calcutta High Court)।


বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ নয়


অযোগ্য শিক্ষকদের অস্বস্তি বহাল কলকাতা হাইকোর্টে। নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষককে নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে, সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চেও অস্বস্তি বাড়ল ওই শিক্ষকদের।

এদিন মামলার শুনানি ছিল, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে। আদালত জানিয়ে দেয়, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের ওপর কোনও হস্তক্ষেপ করছে না ডিভিশন বেঞ্চ। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না আদালত।


আরও পড়ুন: DA Protests: 'পাঁচ বছর অন্তর ভিক্ষা চাইতে হয়, না পারলে চেয়ার ছাড়ুন', ফিরহাদকে পাল্টা DA আন্দোলনকারীদের

২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টে সিবিআই দাবি করে। নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে ৯৫২টি OMR শিট বিকৃত করা হয়েছে। অনেকে সাদা খাতা জমা দিলেও, SSC-র সার্ভারে কারও প্রাপ্ত নম্বর ৫০, কারও ৫২, কারও ৫৩। হাইকোর্টের নির্দেশে ওই ৯৫২টি OMR শিট প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই সব OMR শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন। মামলায় যুক্ত হতে চেয়ে বিচারপতি অভিজিৎগঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি, একসপ্তাহের মধ্যে এঁদের সুপারিশ পত্র বাতিল করার নির্দেশ দেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে ৯৫২ জনের একাংশ। এদিন সেই মামলারই শুনানি হয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে।


OMR শিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ৯৫২ জন চাকরি প্রাপকের মধ্যে ১৩ জন

এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে যে, ১৩ জন শিক্ষককে যুক্ত করতে হবে মামলায়। শুনানি হবে সিঙ্গল বেঞ্চেই। ইতিমধ্যেই নবম-দশম শিক্ষক পদে ওই ৯৫২ জনের মধ্যে, ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে এসএসসি। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন।