তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: রাস্তার হাল (bad road) দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ (suffering) চরমে। এই পরিস্থিতিতে ধানের চারা (paddy seed) পুঁচে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা (villager)। বাঁকুড়ার (bankura) সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের কাদাঘাটা এলাকার ঘটনা। 


কী ঘটল?
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কাদাঘাটা থেকে ভাটপাড়া কলোনি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে বার বার বিষয়টি জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরও রাস্তা সংস্কার নিয়ে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে রাতের অন্ধকারে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, খেদ বাসিন্দাদের। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুলপড়ুয়াদের। এই পরিস্থিতিতে রাস্তা সংস্কারের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা। শুধু এই রাস্তা নয়। আরও বেশ কয়েকটি রাস্তারও এক হাল, দাবি স্থানীয়দের। সেগুলিতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলেই জল জমে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। এক কথায় দুর্ভোগ সপ্তমে। প্রশান্ত ঘোষ নামে এক বাসিন্দা বললেন, 'রাস্তা নিয়ে গ্রামের মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের দাবি একটাই। দ্রুত এর রাস্তা সংস্কার করা হোক।' 


কী বলছে পঞ্চায়েত?
কেন প্রতিবাদের পথে হাঁটতে হল বাসিন্দাদের? বার বার বলা সত্ত্বেও সংস্কারের কাজ না হওয়ার অভিযোগ কতটা সত্যি? পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল রুইদাস গাফিলতির কোনও অভিযোগই মানতে নারাজ। উল্টে বললেন, 'রাস্তার এই সমস্যা জেলায় জানানো হয়েছে। বর্ষাকাল গেলেই রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা হবে।' কিন্তু তত দিন? ভোগান্তির এই ছবিটা একচুলও কি বদলাবে না? কী ভাবে চলাফেরা করবেন সাধারণ মানুষ? জরুরি প্রয়োজনে কোন বিকল্প ব্যবহার করবেন?স্কুলপড়ুয়াদেরই বা কী হবে?  
প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর কোথায়? জানতে চান স্থানীয়রা। সঙ্গে চান, সংস্কারের কাজ দ্রুত হোক। যাতে বর্ষার সময় এই ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সহজে যাতায়াত করতে পারে। যাতায়াতে ঝুঁকি কমে আসে। 


আরও পড়ুন:কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া, জেনে নিন