নয়াদিল্লি: বাংলাতেও ‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচ (Agnipath Scheme Row)। তার জেরে কোপ পড়ল পাল্লার ট্রেনে। আজও বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেল। বাতিল হয়েছে আসানসোল-গয়া এক্সপ্রেস, আসানসোল-বারাণসী এক্সপ্রেস, কলকাতা-অমৃতসর এক্সপ্রেস, কলকাতা-গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস, হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস ও মালদা টাউন-পাটনা এক্সপ্রেস।


‘অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচে ট্রেন বাতিল বাংলাতেও


সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেনের। এগুলি হল, কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি পূর্বা এক্সপ্রেস, হাওড়া-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস ও হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস। 


এ দিকে, ফের রেলপথে অগ্নিপথ-বিক্ষোভের আঁচও দেখা গিয়েছে। হাওড়া-বর্ধমান মেন শাখায় হুগলির শ্রীরামপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সকাল ১১টা নাগাদ শুরু হয় অবরোধ।একাধিক স্টেশনে আটকে পড়েছে ট্রেন।


সেনায় নিযুক্তির (Armed Forces Recruitment) ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত রেল স্টেশনগুলিকেই এ ক্ষেত্রে নিশানা করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের অভিযোগ সামনে এসেছে। তাতে গত চার দিনে শুধু বিহারেই রেলের প্রায় ৭০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ৬০টি ট্রেনের একাধিক কামরা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ (Bihar Arson)। কমপক্ষে ট্রেনের ১১টি ইঞ্জিনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। 


আরও পড়ুন: Agnipath Scheme Row: চার দিনের বিক্ষোভে বিহারেই ৭০০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি রেলের, গ্রেফতার ৭১৮


গত চার দিনে বিহারের ১৫টি জেলায় দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়েছে। তাতে মূলত রেলকেই নিশানা করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ট্রেনের একটি সাধারণ কামরা তৈরি করতে ৮০ লক্ষ টাকা খরচ পড়ে। স্লিপার এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরার ক্ষেত্রে খরচের অঙ্ক যথাক্রমে ১.২৫ এবং ৩.৫ কোটি টাকা। ট্রেনের একটি ইঞ্জিন তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ২০ কোটি টাকা। ১২ কামরার একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন কিনতে ৪০ কোটি টাকা খরচ পড়ে। ২৪ কামরার ট্রেন হলে খরচ পড়ে ৭০ কোটি টাকা। 


অগ্নিপথ’ বিক্ষোভের আঁচে রেলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি


এ ছাড়াও, গত চার দিনে ৬০ কোটির বেশি যাত্রী টিকিট বাতিল করেছেন বলে জানা গিয়েছে। একাধিক রাজ্যে বাতিল করা হয়েছে বহু ট্রেন। তাতে রেলের আয়েও প্রভাব পড়েছে।